টলিউড

স্কুল থেকে চোর অপবাদ দেওয়া হয়েছিল অরিজিতকে! খেয়েছিলেন বাবার হাতে মার

অরিজিৎ সিং, এই মানুষটিকে কে না চেনেন। বর্তমানে এ দেশের সবচেয়ে নামি সংগীত শিল্পীর তালিকায় একেবারে উপরের দিকেই নাম রয়েছে অরিজিৎ সিং এর। প্রতিটা সিনেমাতে এই গায়কের গাওয়া গানের চাহিদা দারুন বেশি। কিন্তু এত খ্যাতি পাওয়ার সত্ত্বেও মাটিতে পা রেখে চলতে পছন্দ করেন অরিজিৎ সিং।

জিয়াগঞ্জে বড় হয়েছেন অরিজিৎ। সেই কারণেই নিজের শিকড়কে ভুলে না গিয়ে মুর্শিদাবাদকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন রয়েছে এই গায়কের। কাজের প্রয়োজনে ছাড়া বাকিটা সময় মুর্শিদাবাদের নিজের বাড়িতে কাটান তিনি।

ছোটবেলায় কিন্তু ভীষণ বদমাইশ ছিলেন অরিজিৎ সিং। বেশ বদমাইশি করতেন স্কুলে গিয়ে। দুষ্টুমি করার জন্য একবার লজ্জার মুখেও পড়তে হয়েছিল এই গায়ককে। সম্প্রতি তারসেম মিত্তলের পডকাস্টে হাজির হয়ে নিজের স্কুল জীবনের এক ভুলে না যাওয়া অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন গায়ক অরিজিৎ।

সেই সময় ক্লাস টেনের ছাত্র ছিলেন অরিজিৎ। বন্ধুর কথা শুনে বিরাট ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিলেন গায়ক। এমনকি চোর অপবাদ জুটে ছিল তার কপালে। বাড়িতে বাবার হাতে ব্যাপক মার খেয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন : গিনির কথা শুনে মেঘের পাশে নীল! “মেরুদন্ডহীন নায়ক” তকমা জুটলো নীলের

অরিজিৎ সিং ওই জানিয়েছেন, “তখন ক্লাস টেনে পড়ি। ইলেভেনের স্টুডেন্টদের জন্য ল্যাবের সুবিধা থাকত। আমাদের বড্ড ইচ্ছে হত, ল্যাবে ঢোকবার। দু-একদিন ডেকেও ছিল, খুব মজা লেগেছিল। টেস্টটিউব আরও সব দেখে। কিন্তু তারপর বন্ধ হয়ে গেল। এক বন্ধু ছিল, নাম নেব না। এসে বলল- ভাই, চল পার্সোনাল একটা ল্যাব পেয়ে গিয়েছি। নিজের ল্যাব। সাইকেল নিয়ে অনেকদূর গেলাম, জঙ্গলের ভিতর দিয়ে। এরপর দেওয়াল টপকে ভিতরে গেলাম।

ভাবছি ল্যাব কোথায়? খানিক যাওয়ার পর একটা বিশাল বড় রুমে ঢুকলাম। ওখানে একটা বিরাট টেবিল, তার উপর বড় একটা লাইট, অনেক সরঞ্জাম। বিরাট বড় ইঞ্জেকশন হয় না, গরুদের যেগুলো দেওয়া হয় না, সেগুলো হাতে পেয়ে আমরা পিচকারির মতো জল ভরে খেলতে শুরু করলাম”।

পুরনো স্মৃতি মনে করে ঠোঁটের কোণে হাসি দেখা গেল অরিজিতের। তিনি বলেন, “আওয়াজ হচ্ছিল সেটা শুনে লোকজন চলে আসে আর কান ধরে আমাদের বাইরে নিয়ে যায়। তারপর হেডমাস্টারকে সোজা ফোন করে- আর বলে এরা চোর। কাল রাতে যে প্লেট চুরি হয়েছে, এরাই নিয়েছে”।

আরও পড়ুন : অনুষ্কার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে ওম! প্রকাশিত হলো “লাভ বিয়ে আজকাল”এর প্রোমো

লন্ডন মিশন হাসপাতালের তালাবন্ধ বিল্ডিং খোলার চেষ্টা করছেন অরিজিৎ। সেই হাসপাতালে গিয়েই তিন বন্ধু মিলে দারুন হুলস্থুল করেছিলেন।

বদমাইশির জন্য তাকে এবং তার বন্ধুদের স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নেওয়া হয়েছিল, উঠেছিল পুলিশে দেওয়ার কথা। বাবার কাছে দারুণ মার খেয়েছিলেন এই গায়ক। তিনি বলেন, “ওই জায়গার যিনি ইন চার্জ ছিলেন, তিনি বাবাকে চিনতেন। নিশ্চিতভাবেই আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেছিলেন। তার ফল বাড়িতে এসে পেয়েছিলাম”।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh