‘পরিচয়পত্র টুকুও নেই, চোখের নিমেষে সবটুকু পুড়ে ছাই হয়ে গেল’, ফেসবুক লাইভে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কেশব দে
চোখের নিমেষে যেন সব স্বপ্নগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেল নিমেষের মধ্যে ধ্বংস হয়ে গেল কঠোর পরিশ্রম করে তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নটা। কয়েকদিন আগে এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক কেশব দে। এক মুহুর্তে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে তার মিউজিক স্টুডিও ঘরবাড়ি সব কিছু পুড়ে গিয়েছে গিটার পিয়ানো মিউজিক সিস্টেম সবকিছু। একজন শিল্পীর কাছে এর থেকে বেশি মর্মান্তিক ঘটনা আর বোধহয় কিছু হয় না।
যখন দর্শকদের মনে হাজারো প্রশ্ন কিভাবে হল কখন হলো ঠিক সেইসময় লাইভে আসেন কেশব দে। সকলের উদ্দেশ্যে একটাই আর্জি জানালেন পাশে থাকার অনুরোধ করলেন সকলের কাছে। লাইভে এসে
কেশব জানিয়েছেন “আমি আমার পরিচয়পত্র টুকুও হারিয়ে ফেলেছি। বেডরুম,ঠাকুরঘর পুড়ে ছাই। পরনের জামা কাপড় টুকু খুইয়ে কাছের মানুষের থেকে পড়তে হচ্ছে। আমার আর বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছা নেই কারন গান হারিয়ে গেল আমার জীবন থেকে। আমার তো সব শেষ।”
কিছুদিন আগেই হঠাৎ করেই আগুনের ফুলকি এসে পড়ে তার শখের মিউজিক স্টুডিও থেকে আর তারপরেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন চোখের নিমেষে সমস্তটা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ইন্সট্রুমেন্ট এর সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে ইউটিউবে থেকে পাওয়া প্লে বাটন গুলি কতটা পরিশ্রম করলে একজন ইউটিউবার ইউটিউব এর তরফ থেকে ওই প্লে বাটন গুলি পায় সেটা যারা পেয়েছে তারাই জানে। গায়কের এই দুর্দিনে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক পাশে আছে অনুরাগীরা।
তবে কিভাবে আগুন লাগলো সেটা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে কি করে আগুন লাগল নাকি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার এখনো সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কালকে কোথায় মুর্শিদাবাদে তিনি ভোটের প্রচার এর জন্য বেরিয়ে ছিলেন এবং ফিরে এসেই এই কান্ড দেখেন। তবে তার সঙ্গেই দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ইউটিউব চ্যানেল থেকে তার বাড়িতে প্রচুর প্লে বাটন আসে কিন্তু সেগুলি নিতে অস্বীকার করে কেশর কারণ তিনি জানিয়েছেন এই দুর্ঘটনায় তিনি সবকিছু হারিয়েছেন কিন্তু এটি পাবলিসিটি করার জন্য নয়।