পার্টি-নাইটক্লাব এখন অতীত! বৃন্দাবনে কৃষ্ণের প্রসাদ খেয়ে জন্মদিন কাটালেন সৌমিতৃষা
টলি পাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু। মিঠাই নামক ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছেন তিনি। তারপরে অবশ্য দেবের সঙ্গে প্রধান সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। সৌমিতৃসার সোশ্যাল মিডিয়া দেখলেই বোঝা যায় তিনি বেশ আধ্যাত্মিক মানুষ। ২৪ শে ফেব্রুয়ারি জন্মদিনে পার্টি নাইট ক্লাবের বদলে এবার বৃন্দাবনে গেলেন সৌমিতৃষা।
বৃন্দাবনে গিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণে মাথা ঠেকিয়ে দিনশুরু করেছেন সৌমিতৃষার। পরিবারের সঙ্গে জীবনের বিশেষ দিনটা তীর্থস্থানে সেলিব্রেট করলেন অভিনেত্রী। সারাদিনটা আজ কিভাবে অভিনেত্রী কাটাবেন সেটা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকরা।
এদিন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা জানান, “প্রতিটা জন্মদিনই আমি বৃন্দাবনে কাটাতে চাই। গতবারও এসেছিলাম। তবে ভগবান যদি কখনও কেদারনাথে টনে তাহলে সেখানেও যাব। যে কোনও ভগবানের স্থানেই আমি আমার জন্মদিনটা কাটাতে চাই। অনেকেই আমাকে বলেন, জন্মদিনটা আমি কেন কোনও ফাইভ স্টার হোটেলে কাটাই না।
আমি তখন একটাই কথা বলে যে, তীর্থস্থানই আমার কাছে পাঁচতারা হোটেল। সারা বছর আমরা কাজের সূত্রে সাকসেস পার্টি, সেলিব্রেশন, ইভেন্ট, ফাইভ স্টার হোটেলের গণ্ডিতেই থাকি। তাই জন্মদিনটা আমি ভগবানের সঙ্গেই কাটাতে চাই।
হোটেলের স্টাফরা আমার জন্য একটা কেকের ব্যবস্থা করেছিল। কেকে কেটে আমরা মথুরা দর্শনে বেড়িয়েছি। এরপর গো-মাতা খাওয়াব। তারপর বাকি বিহারী মন্দির, যমুনা ঘাট, রাধা বল্লভ মন্দির যাব। বিকেলে আবার ইস্কন মন্দির আর প্রেম মন্দির যাব”।
তিনি আরোও বলেন,”আমাদের অস্তিস্ব যার জন্য সেটা তো ভগবানই। সকলের মধ্যেই এই ভাবনাটা আসে। কারও আসে ছোট বয়সে তো কারও আবার ৪০ বছর বা ৮০ বছরে। আমি ছোট থেকেই এই পরিবেশে বড় হয়েছি বলে আমার মধ্যে ঠাকুর ভক্তিটা রয়েছে। এখানে এসে আমরা সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার খাই। এমনকী কেকটাও সম্পূর্ণ নিরামিষ।
পেঁয়াজ-রসুন খাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু, আমরা খাই না। আমি খেতে খুব ভালোবাসি। তবে এখানে এলে এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হয় না। বরং ভালো লাগে। বাঙালি ঘরানার খাবার নয়। তবুও এক অদ্ভুত তৃপ্তি লাগে। ঘুমও খুব তাড়াতাড়ি হয়। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগে। আমি কৃষ্ণের নামগানের মধ্যেই থাকতে ভালোবাসি”।
আরও পড়ুন : ইন্ডিয়ান আইডলের কষ্টের কাহিনী সবটাই নাটক! সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শ্রেয়া
জন্মদিনে ছোটবেলার দিনগুলোতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে মিঠাই রানীর? সৌমিতৃষা জানান, “ছোটবেলায় পড়াশোনার জন্য সবসময় দূরে কোথাও যেতে পারতাম না। তবে এই পরিবেশেই মানুষ হয়েছি। জন্মদিনে বাড়িতে কীর্তন হয়েছে।
পাঠ পড়া হয়েছে। তখনও কৃষ্ণনাম করেছি। এখন কাজের চাপ রয়েছে। তবে ভগবানের নাম করাটায় কোনও পরিবর্তন আসেনি। আর আসবেও না। তাই ছোটবেলা আর এখনের জন্মদিনের মধ্যে বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। জন্মদিনে আমার কাছে স্পেশ্যাল মেনু মানেই ভগবানের প্রসাদ। আর বৃন্দাবন ঘুরতে আসাটাই আমার বার্থডে গিফট। আমার ভক্তরা যা ভালোবাসা দিয়েছে তাতে আমি সত্যিই আপ্লুত”।