নিজের গান নিয়ে এক সময় বিভিন্ন কোম্পানিতে ঘুরেছেন সুরজিৎ, শুনতে হয়েছে, ‘চলবে না’, এখন দীর্ঘ ২০ বছর পার ইন্ডাস্ট্রিতে
ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রিতে কুড়ি বছর পার করে ফেলেছেন সুরজিৎ চ্যাটার্জী। একসময় দীর্ঘ ৬ বছর নিজের গান নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন এই গায়ক। তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হত তার গান চলবে না। তবে তিনি ভেঙে পড়েননি।
গান কে আঁকড়ে ধরে আজ এতদূর পথ পেরিয়ে এসেছেন। ২০২১-এ দাঁড়িয়েও তিনি মনে করেন ‘বারান্দায় রোদ্দুর’ তার জীবনের তৈরি করার শ্রেষ্ঠ গান।
গায়কের কথায় এই ইন্ডাস্ট্রিতে তার ২০ টা বছর পার হয়ে গিয়েছে। আজকের দিনে তিনি ঠিক যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এই জায়গায় আসতে সময় লেগেছে অনেকটাই। পরিশ্রম ও ধৈর্য লেগেছে তার থেকে অনেক বেশি।
এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “২০ বছর ধরে গানের জগতের সঙ্গে যুক্ত। তবে এই মঞ্চ পাওয়াটা সহজ ছিল না। শিল্পী বলছেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানি গিয়ে শুনতে হয়েছে, ‘এই গান চলবে না’। রোজগার ছিল না, ছিল অর্থাভাব। যখন মনে হয়েছে, আগামীকাল কী করব, অদ্ভুতভাবে তখন বাঁচিয়েছে সেই গানই।
হঠাৎ করে বিজ্ঞাপনের সুযোগ এসেছে। কয়েক লাইন গেয়েছি, পারিশ্রমিক পেয়েছি ৫০০ টাকা। সেটা দিয়ে কয়েকটা দিন চলে গিয়েছে। তারপর আবার লড়াই শুরু। শেষে যখন মঞ্চ পেলাম, তখন সেটাকেই আঁকড়ে ধরেছি। বাঁশি শিখেছি, গীটার শিখেছি। মনে হয়েছে এই জায়গাটাকে আর যেতে দেব না।”
সম্ভবত এবার পুজোয় নতুন কিছু নিয়ে হাজির হতে হচ্ছেন সুরজিৎ চ্যাটার্জী। এবার পুজোর নতুন অ্যালবাম ‘গান শোনার গান’ নিয়ে এসেছেন গায়ক। তিনি জানিয়েছেন, “এবার পুজোয় নতুন কিছু করতে চেয়েছিলাম। ‘গান শোনার গান’ আমার একার অ্যালবাম নয়। এখানে একঝাঁক তরুণ প্রতিভা রয়েছে। গানের সঙ্গে চিত্রায়ণ করা হলে সেটা শ্রোতার কল্পনাকে বেঁধে দেয়। আমরা তা চাইনি।”
গায়ক এই অ্যালবামের কোন ভিডিও বানাননি কারণ তার মতে এতে শ্রোতাদের কল্পনা শক্তিকে বেঁধে ফেলা হয়। তাই এবার পুজোয় গায়কের নতুন প্রয়াস এটাই। প্রতি শুক্রবার এই অ্যালবামের একটা করে গান একটি নামী সংবাদমাধ্যমের দ্বারা মুক্তি পাচ্ছে। তিনি এও জানান এই গোটা অ্যালবামটি অনলাইনেই পেয়ে যাবেন শ্রোতারা।বর্তমানে তার মেয়ে অন্বেষাও পা রেখেছেন গানের জগৎ-এ।