“এখন ফ্ল্যাটে আলু খাওয়া অতীত, দাদা এবার গাড়িতেও আলু খাবে” – কিরণের নতুন গাড়ি নিয়ে ফটোতে নোংরা কটাক্ষ করছেন নিন্দুক! “তোমার মাকে নিয়ে একদিন এসো আমার গাড়িতে”, পাল্টা নোংরা মন্তব্য করে দ্য বং গাই অর্থাৎ কিরণ দত্ত
একদম নীচ থেকে যখন কোন মানুষ রীতিমতো স্ট্রাগল করে উপরে ওঠে তখন তাঁর জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। যেমন ধরুন যখন সে উপরের দিকে উঠে তখন হয় অহংকার আসে আর নয়তো পুরনো দিনকে মনে রেখে সঠিক, সৎ পথে সরল ভাবে চলে। বর্তমান যুগে ইউটিউব একটি এত বড় প্ল্যাটফর্ম যা এখনকার দিনে যুবক যুবতীদের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি পেশা। এখানে কাজ করতে না কোন বয়সের সীমা আছে, না কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার আছে। শুধু দরকার ভালো কনটেন্ট তৈরি করার আইডিয়া, ভালো কাজ, আর মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে নিজের এমন পাবলিসিটি। সবগুলি অস্ত্রকে একসাথে ব্যবহার করে, আজকালকার একদম কুড়ি একুশ বয়সের যুবক যুবতীরাও মাস গেলে দুই থেকে তিন লাখ টাকা রোজগার করছেন শুধুমাত্র ইউটিউব চ্যানেলের উপর ভিত্তি করে। বাংলার প্রথম জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ইউটিউবার হলেন কিরণ দত্ত অর্থাৎ দ্য বং গাই।
কিরণ দত্তের জার্নি ঠিক কিভাবে কোথা থেকে শুরু হলো তা আমরা সবাই জানি। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাজ নিয়ে, বিভিন্ন সিনেমা নিয়ে রোস্টিং করে আজকে বেশ ভালই জনপ্রিয় এই ইউটিউবার। নদীয়া থেকে উঠে এসো এখন গোটা বাংলার সেলিব্রিটি হয়ে গেছে সে। তবে এমন নয় যে ইউটিউব জগতে তাঁকে স্ট্রাগল করতে হয়নি। প্রথম প্রথম এমন হয়েছে তাঁর ভিডিও ভিউজ পেত না। কিন্তু এখন সে বাংলার এতই জনপ্রিয় একজন ইউটিউবার যে তাঁকে দিয়ে করানো হচ্ছে বিভিন্ন সিনেমার প্রমোশন। এছাড়াও নিজেও অভিনয় করছেন সিনেমাতে। একেই হয়তো বলে কর্মের ফল।
সম্প্রতি আবার শুরু হল কিরণ দত্তকে নিয়ে সমালোচনা। আসলে ইউটিউবার কিরণ সম্প্রতি নিজের জীবনের একটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন। এটি তাঁর জীবনের প্রথম গাড়ি। এই ছবি দেখে অনেকে খুশি হলেও কিরণ এমন একটি কান্ড ঘটিয়েছেন যেটাতে বেশ খারাপ লেগেছে কিছু অংশের দর্শকের। যেমন গাড়ি নিয়ে এসে ক্যাব থেকে নামার সময় কিরণ কে বলতে শোনা যায়, “যা তোকে আজ থেকে আর লাগবে না, তুই বেরো”। এই কথায় খারাপ লেগেছে বেশ কিছু দর্শকের। তাই একজন লিখেছেন, “দাদা নিজের দামি গাড়িটা রাস্তায় খারাপ হলে বাড়ি ফিরতে তো সেই ক্যাবটাই ভরসা। কিছুজন বলছেন যে হঠাৎ টাকা পেয়ে গাড়ি কিনে ধরাকে সরা জ্ঞান করছো”? তবে কিরণ কথাটি মজার ছলেও বলতে পারেন।
আবার অনেকে বলেছে জীবনের প্রথম গাড়ি কেনা হলো আর বাবা-মাকে আনা হলো না সেদিন। ধুবুলিয়া তে একটা গাড়ি পাঠিয়ে বাবা মাকে নিয়ে আসলেই তো হতো। কিন্তু সেসব কোথায়? নিজের অঘোষিত প্রেমিকাকে গাড়ি কিনতে নিয়ে যাচ্ছে। আবার তাঁকে দিয়েই গাড়ির পুজো করাচ্ছে। এসব দেখে রীতিমতো বিরক্ত হয়েছেন। আমি কি আবার মন্তব্য করেছেন নিজের মাকে ভালোবাসা সম্মান দিলে তবে তোমাকে আনত। মায়েরা তো আবার কিরণের গাড়িতে হয়তো সেফ নয়।
কিন্তু হঠাৎ কিরণের গাড়ি কেনার সাথে মা নিয়ে এরকম সমালোচনা হওয়ার কারণ কি? আসলে একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছিলেন, “এখন ফ্ল্যাটে আলু খাওয়া অতীত। দাদা এখন গাড়িতেও আলু খাবে”। নেটিজানের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কিরণ উত্তর দেন, “তোমার মাকে নিয়ে একদিন এসো আমার গাড়িতে”। কিরনের এই মন্তব্য ঘিরেই তুমুল সমালোচনা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ কিরণ সমাজের এমন ব্যক্তি তাঁদের মধ্যে পড়েন যাকে অনেকেই যুব প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনুসরণ করে। তিনি ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্স এর আবার একা ধরে অভিনয় জগতের সাথেও জড়িত আছেন। সবটা মিলিয়ে কিরণের থেকে এই ধরনের মন্তব্য কাম্য নয়।
View this post on Instagram