টলিউড

মা হারানো দর্শনা আজ বাবার ঘর ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে! কীভাবে সামলাবেন নিজেকে?

প্রতিটি মেয়ে তার মা বাবার কাছে রাজকন্যা। দীর্ঘদিন ধরে তাকে বড় করে তোলার মধ্যে যে আনন্দ রয়েছে, তা বোধহয় আর কোন কিছুতেই নেই। চোখের সামনে একটি মেয়েকে জন্ম থেকে বড় হয়ে উঠতে দেখা, আর তারপর বাবার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার রীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ২০১৬ সালে মা পূর্বা বণিককে হারিয়েছিলেন দর্শনা। বিয়ের আসনে বসতে গিয়ে বারবার চোখে জল এসেছে তার।

এছাড়া দীর্ঘদিন একটা মানুষের সঙ্গে বেঁচে ছিলেন দর্শনা। মানুষটি কে জানেন? দর্শনার বাবা তারক বণিক। ৬০ বছর পেরিয়েছেন তিনি। পেশায় সরকারী ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন।

আরও পড়ুন : দর্শনার সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিলেন সৌরভ! বউকে জড়িয়ে ধরে চুমুও খেলেন

মেয়েদের জীবনের ‘প্রথম হিরো’ তাঁদের বাবা। আমি মৃত্যুর পর বাবাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে ছিলেন দর্শনা। মায়ের অভাব বুঝতে না দেওয়া সেই মানুষটাও মেয়েকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে ছিলেন। কিন্তু এবার যে সেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পালা।

মেয়েদের একটা বয়সের পর আর হয়তো বাবার ঘরে থাকা সম্ভব হয় না। সেই সময় তাকে সংসার ধর্ম পালনের জন্য চলে যেতে হয় শ্বশুরবাড়িতে।

একই ভাবে আজ বাবার বুক খালি করে সৌরভের হাত ধরে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পালা দর্শনার। মা মারা যাওয়ার পর বৌদি শ্রীতমা বনিক দর্শনার খুব কাছের হয়ে ওঠেন। মাতৃ দিবসে সেই বৌদিকে মায়ের পাশাপাশি শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন : দাদাগিরির মঞ্চে টিম প্রধান! কেমন দাদাগিরি করলেন দেব সৌমিতৃষারা? দেখুন..

প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনে তার বাবার অবদান অনেক বেশি। একই ভাবে দর্শনা তাঁর বাবাকে ‘ড্যাডি কুল’ মনে করেন। বিয়ের পর বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়িতে মিলিয়ে মিশিয়ে থাকবেন বলে জানিয়েছেন দর্শনা।

মেয়ের বিয়ের পরেই সোলো ট্রিপে যাবেন বাবা। তবে আজ কন্যাবিদায় পর্ব। চোখের জল হয়তো বাধা মানবে না আজ। চোখের জলে আর অনেকটা শুভ কামনায় মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবেন দর্শনার বাবা।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh