‘এখন লোকে পুজোর আলপনা দিতেও চ্যানেলকে ডাকে, আমি আমার জন্মদিনেও কখনো চ্যানেলকে ডাকিনি’! বিস্ফোরক অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জীর
বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একসময় কার জনপ্রিয় দাপুটে নেতা তিনি। প্রসেনজিৎ,অভিষেক,তাপস পাল চিরঞ্জিত থেকে শুরু করে সকলের সাথেই তাল মিলিয়ে অভিনয় করা অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জী প্রায়শয় নানান রকম বিস্ফোরক দাবি করে থাকেন। আসলে তিনি মনে করেন তার সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে যারা কাজ করতেন তারা অভিনয়টা ভালো করে জানতেন কিন্তু বর্তমান সময়ে অভিনয়ের থেকে লোক দেখানোপনাটা বেশি হয়। তিনি এক সময় প্রচুর ছবিতে অভিনয় করে এবং অনেক অর্থ উপার্জন করেও একটা নতুন গাড়ি কিনতে সাহস পাননি। কারণ তিনি জানতেন এই ইন্ডাস্ট্রি টা অনিশ্চিত কিন্তু বর্তমান সময়ে কেউ একটা ধারাবাহিক করেই একটা গাড়ি কিনে বসছে এই সবটাই হলো আসলে লোক দেখানো ফ্যাশন।
সম্প্রতি বিপ্লব চ্যাটার্জী একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি কোনদিন কোন চ্যানেলকে ডেকে জন্মদিন পালন করেননি, নিজের জন্মদিন ব্যক্তিগতভাবে আপনজনদের সাথেই পালন করেছেন। ঘরোয়া ভাবে জন্মদিন পালন করেছেন তিনি, লোক দেখানো উদযাপন করেননি। অভিনেতার কথায়,“ একটা সময় সোনালী দিন আমারও ছিলো তখনও কোনদিন লোক ডাকিনি। এখন তো পুজোর আলপনা আঁকতেও সবাই দেখি চ্যানেলকে ডাকেন। নিশ্চয়ই দর্শকদের ভালো লাগে সে সব দেখতে। তাই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেন।”
অভিনেতা অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন একসময়। তার কথায়, “নাটকে চিত্রনাট্য লিখছি চ্যানেলের জন্য চিত্রনাট্য জমা দিয়েছিলাম। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামূলক কোন কিছু দেখাবেন না তারা। প্রযোজকই যদি না পায় তাহলে কাজ করবো কি করে? ইদানিং ধারাবাহিকে দেখি মা-মেয়েকে বিচ্ছেদের পরামর্শ দিচ্ছেন মেয়ে সেটা মেনেও নিচ্ছে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষেরও এসব দেখাতে কোন আপত্তি নেই। চুপচাপ দেখছি, আর ভাবছি আর কত উচ্ছন্নে যাবে সমাজ? আর কত রসাতালে যাবে?”
একই সাথে অভিনেতা বলেন,“ এক এক সময় মনে হয় আমার ই বা বেঁচে থেকে লাভ কি? বেঁচে থাকা মানেই বসে বসে অবক্ষয় দেখা। সমাজ রাজনীতি চেতনা শিল্প সংস্কৃতি সব কিছুর অবক্ষয়। এবার বোধহয় বিদায় নেওয়ায় ভালো। অন্যায় দেখতে পারিনা। স্পষ্ট প্রতিবাদ জানাই। তারপরেই সবার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি”