শিল্পপতি রতন টাটার ৮৪’তম জন্মদিনে তার সম্বন্ধে উঠে এলো ১০ টি অজানা তথ্য! জানুন বিখ্যাত এই শিল্পপতির সম্পর্কে ১০ টি চমকপ্রদ তথ্য
গোটা দেশের শিল্পপতিদের মধ্যে রতন টাটা নামটা ভীষণভাবে পরিচিত আট থেকে আশি সকলের কাছে। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে এবং একজন মানুষ হিসেবে তিনি সফল তা নিঃসন্দেহে বলা চলে। শুধুমাত্র দেশেই নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সীমানাতে তিনি সু-প্রতিষ্ঠিত।
একদম ছোট থেকেই পারিবারিক দিক দিয়ে ব্যবসায়িক পরিবেশ মানুষ হয়েছেন রতন টাটা। তিনি কর্নেল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ আর্কিটেকচার এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন। সম্প্রতি ভারতের অন্যতম সেরা শিল্পপতি রতন টাটার ৮৪’তম জন্মদিনে তার সম্বন্ধে ১০ টি অজানা তথ্য উঠে এসেছে সকলের সামনে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১০ টি অজানা তথ্য:
১) জামসেদজি টাটার দত্তক নেওয়া নাতি নভাল টাটার ছেলে রতন টাটা।
২) গুজরাটের অন্যতম ধনী পরিবারের ছেলে ছিলেন। তিনি একজন সফল শিল্পপতি হলেও ছোট থেকেই ব্যক্তিগত জীবন তার খুব একটা সুখকর নয়। ছেলেবেলাতেই তার বাবার সাথে মায়ের বিচ্ছেদ ঘটে। দিদার কাছেই মানুষ হয়েছেন তিনি।
৩) দিদার কাছে মানুষ হলেও পড়াশোনার জন্য তিনি দিদার থেকে দূরে মুম্বাইতে গিয়েছিলেন।
৪) মুম্বাইতে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে তিনি কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে আর্কিটেকচারে এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্টের উপর পড়াশোনা করে দেশে ফেরেন।
৫) পরবর্তীকালে তিনি নিজেদের পারিবারিক ব্যবসায় যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে টাটা গ্রুপের স্টিল কোম্পানিতে যোগদান করেন। সেই শুরু, আজ তিনি একজন সু-প্রতিষ্ঠিত বিজনেসম্যান।
৬) দেশের সবথেকে বিশ্বস্ত কম্পানি বলে মনে করা হয় টাটা গ্রুপকে। উল্লেখ্য, রতন টাটা টাটা গ্রুপের পঞ্চম চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। টাটা গ্রুপের মোট ৬ জন চেয়ারম্যান। তার মধ্যে মাত্র ২ জন টাটা পরিবারের সদস্য নন।
৭) টাটা গ্রুপের ষষ্ঠ চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রীকে বরখাস্ত করে প্রথমবারের জন্য টাটা গ্রুপ তুমুল বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছিল।
৮) টাটা গ্রুপের ষষ্ঠ চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রীকে বরখাস্ত করার পর বেশ কিছুদিন রতন টাটা নিজেই অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
৯) ভারতের প্রথমবার গুজরাটের ওখাতে ১৯২৭ সালে লবণ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ১৯৩৮ সালে সেটি কিনে নিয়েছিল টাটা গ্রুপ। আর সেই থেকেই শুরু হয়েছিল টাটা নুনের পথ চলা যা আজও অব্যাহত রয়েছে।
১০) ১৯৯৭ সালে রতন টাটা একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন, তিনি চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষরাও যাতে তাদের গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। তাই তিনি ২০০৮ সালে সবথেকে কম দামে মাত্র ১ লক্ষ টাকায় ন্যানো গাড়ি নিয়ে আসেন বাজারে। সেইসময় বহু মানুষ নিজেদের গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছিলেন রতন টাটার জন্যই।