ব্যারাকপুরের নীলগঞ্জে একরাতে ৩০০০ আজাদ হিন্দ সৈন্য মারা গিয়েছিলেন ব্রিটিশের অত্যাচারে! অজানা কারণে ইতিহাস আজও চুপ গোটা ঘটনা নিয়ে
ব্রিটিশদের অত্যাচারের হাত থেকে ভারতের স্বাধীনতা লাভ করা কতটা কঠিন ছিল তা ইতিহাস বইয়ের দৌলতে সবাই এখন জানেন। তবে সেই রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতার যুদ্ধের ইতিহাস থেকে চাপা পড়ে গেছে অনেক সংগ্রাম। তেমনি একটি ঘটনা হলো নীলগঞ্জের হত্যাকান্ড।যেখানে একরাতে ব্রিটিশ পুলিশের অত্যাচারে মারা গিয়েছিলেন ৩০০০ আজাদ হিন্দ সৈন্য বাহিনীর যোদ্ধা।
প্রসঙ্গত ভারতের ইতিহাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আজাদ হিন্দ বাহিনী কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সকলেরই জানা। বিদ্রোহী মূলক কাজ কর্মের মাধ্যমে ব্রিটিশদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছিল এই সৈন্যবাহিনী। কিন্তু ১৯৪৫ সাল নাগাদ আজাদ হিন্দ বাহিনীর পরাজয়ের পর বন্দী হওয়া সৈন্যদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। কারণ তাদের সকলের একটাই উদ্দেশ্য ছিল। আজাদ হিন্দ বাহিনীর নেতা সুভাষ চন্দ্র বোস কোথায় তা জানা।
জানা যায় ১৯৪৫ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুরের নীলগঞ্জে একটি খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছিল আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈন্যদের। সেখানে উপস্থিত ছিল ব্রিটিশ পুলিশ অফিসাররাও। স্থানীয় মানুষদের সূত্রে জানা গিয়েছিল সারা রাত জুড়ে এরপর তারা শুনেছিলেন একটানা গুলির শব্দ। পরের দিন সকালে তারা দেখতে পেয়েছিলেন ওই অঞ্চলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়ার নোয়াই খালের জলের রং বদলে হয়ে গিয়েছিল রক্তলাল। পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ মৃতদেহগুলিকে মাটি খুঁড়ে মাটির তলায় চাপা দিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে।
তবে এই গোটা নারকীয় ঘটনার কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না ইতিহাস বইতে। এই ঘটনার পর ১৯৪৫ এর অক্টোবরে অমৃতবাজার পত্রিকায় এই ঘটনার বিবরণ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে মাত্র 5 জন সৈন্যের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল। বলাই বাহুল্য কোন এক অজানা কারনে আজও ইতিহাস গ্রন্থগুলি চুপ এই গোটা নাটকীয় ঘটনা নিয়ে।