‘দিদার মতো মালাইকারি-পোলাও কেউ বানাতে পারবে না’, দিদা সুপ্রিয়া দেবীর জন্মদিনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন নাতি অভিনেতা শন ব্যানার্জি
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মন ফাগুনের’ ঋষিরাজ অর্থাৎ অভিনেতা শন ব্যানার্জি আমাদের কাছে তা নিজের নামে পরিচিত হলেও তার অন্য আরেকটি পরিচয় রয়েছে তিনি প্রয়াত অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর নাতি। সুপ্রিয়া দেবীর জন্মদিনে তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে কিছু অজানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলে শন। তুলে ধরলেন দিদিমার সঙ্গে তার কাটানো কিছু আবেগি মুহূর্তের কথা।
একটি নিউজ পোর্টালে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শন আবেগেপ্রবণ হয়ে ওঠেন। কিন্তু দিদার জন্মদিনে মন খারাপ নয় দিনটা সেলিব্রেট করেই কাটান অভিনেতা। দিদা সশরীরে নেই তো কি হয়েছে সব সময় তার আশীর্বাদ তার মাথার উপরে আছে এটাই বিশ্বাস করেনি শন। তাই প্রতিবছর মা এবং দিদি মিলে দিদার জন্মদিন পালন করেন এবং দিদার পছন্দের চাইনিজ কন্টিনেন্টাল খাবার বাড়িতে বানানো হয় নয়তো বাইরে থেকে অর্ডার দেয়া হয়।
শন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ” গতবছরও আমরা এই ভাবেই উদযাপন করেছি দিদার জন্মদিন। আমার রুমে দিদার একটা বড় ছবি আছে, সেখানে মালা পড়াই, মোমবাতি জ্বালিয়ে মিষ্টি দিই আজকের দিনে।” শনের একটি ডাকনাম রয়েছে বনি তবে সুপ্রিয়া দেবী শন কে বনা নামে ডাকতেন। শন বলে কখনোই ডাকতেন না দিদা। দিদার হাতের রান্না প্রচন্ড ভাবে মিস করেন শন। এমনিতেই সুপ্রিয়া দেবীর হাতের রান্নায় গোটা টলিউড মুগ্ধ। শন জানিয়েছেন “আমি মাছ খেতে একেবারেই পছন্দ করিনা, তবে দিদা মাছের দারুন নানান পদ রান্না করতেন, দিদার হাতের চিংড়ির মালাইকারি আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি একেবারেই মাছের কাটা বেছে খেতে পারি না, তাই মাছ খাওয়া হতো না তবে দিদার হাতে রান্না করা ইলিশ মাছও আমি খেয়েছি। যদিও বলতে লজ্জা নেই দিদাই আমায় কাঁটা বেছে দিতেন, তারপর আমি খেতাম। দিদা এত ভালোবেসে রান্না করতেন আমি না বলতে পারতাম না, আর খেতেও দারুন লাগতো।”
তাই দিদা চলে যাওয়ার পর থেকে শনের আর সেভাবে বাঙালি কোন পদ খাওয়া হয়নি। কারণ শন মনে করেন বাঙালি রান্না সবার মন থেকে ভালোবাসা দিয়ে বানানো হয়। তাই কোন রকম রেস্টুরেন্টেও আর বাঙালি পদ খাওয়া হয়নি তার।