‘সবার মতো বাসন মাজলে হাতের শট নেওয়া যাবে না’! দিদি নং ওয়ানের মঞ্চে অঙ্কিতা চক্রবর্তীর অহংকারী কথা শুনে চটে লাল নেটাগরিকরা
ইষ্টিকুটুম ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন অঙ্কিতা চক্রবর্তী। ইষ্টি কুটুম ধারাবাহিকের পর দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর তাকে আর পর্দায় দেখা যায়নি। সম্প্রতি একটি নতুন প্রোজেক্টে ফিরছেন তিনি। ধারাবাহিকের নাম ইন্দ্রানী। এই ধারাবাহিকে দেখানো হবে, হিরোর চেয়ে বয়সে বড় নায়িকা। ধারাবাহিক দেখানো হবে নায়িকার ১৩ বছরের একটি মেয়ে আছে, তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছে অথচ শ্বশুরবাড়ির প্রতি যাবতীয় দায়িত্ব কর্তব্য সে পালন করে। এই মহিলারই প্রেমে পড়বেন তার চাইতে বয়সে অনেক ছোট নায়ক। অসমবয়সী এই প্রেমের গল্প ‘ইন্দ্রাণী’ দেখানো হবে কালার্স বাংলায়।
দিদি নাম্বার ওয়ানে এসেছিলেন অঙ্কিতা চক্রবর্তী। সেখানে তিনি জানান, তার কাছে তিনিই সব থেকে বেশি ইম্পরট্যান্ট। তিনি সব থেকে বেশি নিজের কথা ভাবেন। তিনি যখন কোন একটা বিষয় নিয়ে দৃঢ়ভাবে চিন্তা করেন তখন তার পরিবার,তার বাবা-মা ও তার কাছে আবছা হয়ে যায়। এই জায়গায় তিনি ভীষণ স্বার্থপর। এরপর দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে রচনা ব্যানার্জি যখন জিজ্ঞেস করেন, বাড়ির লোককে সময় দেয় অঙ্কিতা? তখন অঙ্কিতা বলেন, বিকেল পাঁচটার পরে তিনি আর বাড়িতে থাকেন না বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বেরিয়ে যান, তাই বাড়িতে, মাকে সময় দিতে পারলেও বাবাকে সেভাবে তিনি সময় দিতে পারেন না। কারণ তার বাবা যখন সকাল আটটায় অফিসে যায় তখন সে ঘুমিয়ে থাকে আর তার বাবা যখন রাত্রি দশটায় ফেরে তখন তার সন্ধ্যে।
এর পাশাপাশি অঙ্কিতা দিদিকে আরো জানায় যে বিয়ে নিয়ে সে এখনই কিছু ভাবছে না। বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে সে এও জানায় যে, ভবিষ্যতে যাকে বিয়ে করবে বা যাদের সংসারে যাবে তাদেরকেও তার বিষয়ে ভাবতে হবে যে তারা তাকে সব সময় পাবে না। অন্যদিকে তাদের এটাও মেনে নিতে হবে যে, সে বাড়ির কাজ করতে পারবে না। কারণ তাকে যদি সকাল থেকে উঠে বাসন মাজতে হয় তাহলে তার হাতের আর শট দেওয়া যাবে না। -বলাই বাহুল্য তার এই কথা শুনে চটে লাল হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। আসলে অঙ্কিতার এই কথার মধ্যে অহংকার স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠছে।
View this post on Instagram