চেকবুক নিয়ে মাছের বাজারে যান বাংলা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় এই অভিনেতা! শখে নয় এর পিছনে আছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ! জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
অভিনয় করতে করতে অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা দর্শকদের কাছে খুব প্রিয় হয়ে ওঠেন। দর্শকদের কাছে অভিনেতা অভিনেত্রীরা এতটাই আপন হয়ে যায় যে তাদের রিয়েল লাইফের যাবতীয় ঘটনা জানতেও তারা উদগ্রীব হয়ে ওঠেন আর তাই জনপ্রিয় তারকারা কখন কোথায় কী করছেন তা নিয়ে নানান রকম নিউজ তৈরি হয় এবং সেগুলো মানুষ ভীষণ পছন্দ করেন। সম্প্রতি আবারও একজন জনপ্রিয় অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের এক অদ্ভুত কীর্তির কথা জানা গেল।
কিছুদিন আগে জি বাংলার দাদাগিরিতে এসেছিলেন বাংলা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা রতন সর্খেল। জি বাংলায় আমার দুর্গা ধারাবাহিকে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন এই অভিনেতা। অভিনেতা দাদার মঞ্চে এসে জানান তিনি বাজারের চেক বই হাতে যান। স্বাভাবিকভাবে এরকম একটি ঘটনা শুনে দাদা শুদ্ধ সবাই হাসতে থাকেন আর সবাই খুব অবাক হয়ে যান এটা শুনে। কারণ চেক বই হাতে বাজার যাওয়ার ঘটনা এর আগে কেউ কখনো শোনেনি।
তবে অভিনেতা রতন সর্খেল কেন চেক বই হাতে বাজারে যান সেই বিষয়েও ব্যাখ্যা করেন। অভিনেতা ব্যাখ্যা করে বলেন যে তিনি একটি একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য। তাদের পরিবারে এই মুহূর্তেও আট ভাই এবং পাঁচ বোন রয়েছেন যারা একসাথে এক ছাদের তলায় থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই আট ভাই এবং পাঁচ বোনের সংসারের মানুষজনও সেই একই বাড়িতে থাকেন। তাই প্রচুর মানুষ একসাথে থাকার জন্য রান্নাবান্নাও প্রচুর হয় এবং বাজার ও প্রচুর পরিমাণে করতে হয়।
দুইবেলা মিলিয়ে প্রায় অভিনেতার বাড়িতে ৫০ জনের মতো রান্না বান্না করতে হয়। কখন কোন দাদা বা কোন ভাই বাজারে যাচ্ছে তার কোন হিসেব-নিকাশই থাকে না অভিনেতাকেও জোর করে বাজারে পাঠানো হয় তবে অভিনেতা মাছ এবং আম কিনতে খুব ভালোবাসেন আর তাকে যখনই মাছ কিনতে পাঠানো হয় তখন তিনি 6000 টাকার ইলিশ মাছ কিনে ফেলেন। অনেক সময় বাজারে যাওয়ার সময় অভিনেতার কাছে টাকা পয়সা থাকে না তখন যারা বিক্রি করছে তারা বিশ্বাসের জোরে অভিনেতাকে মাছটি দিয়ে দিলেও অভিনেতা তার বদলে একটি চেক লিখে দেন। সেই থেকেই অভিনেতা বাজারে চেকবুক নিয়ে বাজার করতে যান।