পাখিদের জন্য তৈরি বিলাসবহুল মহল- থাকা খাওয়ার সম্পূর্ণ ব্যাবস্থা, গুজরাটের এক কৃষক পাখিদের থাকা-খাওয়ার জন্য বানিয়েছেন এক বিশাল বাংলো, যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, রইল ছবি
বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির যুগে দাঁড়িয়ে আমরা এমন অনেক ঘটনার কথা বাড়িতে বসেই জানতে পারি যা শুনলে আমাদের রীতিমত অবাক হতে হয়। তেমনই গুজরাটের একটি ঘটনার কথা উঠে এসেছে সকলের সামনে, যা শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন অধিকাংশ। গুজরাটের এক ব্যক্তি পাখিদের থাকা-খাওয়ার জন্য বানিয়েছেন বিলাসবহুল বাংলো, সম্প্রতি তার ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গুজরাটের নাভি সাঙ্কলি গ্রামের এক বাসিন্দা ভগবানজি ভাই। তিনি পাখিদের প্রতি প্রেমের থেকে তাদের জন্য বানিয়েছেন এক বিশাল বাংলো। তিনি পেশায় শুধুমাত্র একজন কৃষক। সমস্ত ধরনের পাখিরা এখানে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত নিরাপদে থাকতে পারে। খরচের চিন্তা না করে এই বাংলো বানিয়েছেন তিনি। ৭৫ বছর বয়সি ভগবানজি পাখিদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এটি বানিয়েছেন।
এটি দেখলে শিব মন্দিরের মতো মনে হবে, কিন্তু আসলে এটি শুধুমাত্র পাখিদের থাকার জায়গা। আগে পাখিদের তিনি দানা দিতেন তাড়া খেয়ে উড়ে যেত। তারা বৃষ্টিতে কিংবা শীতে কি করে সেই চিন্তা থেকেই এমন একটি বাংলোর সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার বানানো পাখিদের এই বাড়ি দূর দূর থেকে লোকজন আসেন।
এই বাড়ি বানাতে সময় লেগেছে একবছর। এর উচ্চতা অনেক। এই বাড়িতে আড়াই হাজার পাখি একসাথে থাকতে পারে। ছোট-বড় আড়াই হাজার হাঁড়ি দিয়ে তৈরি হয়েছে এই বাংলো। ভগবানজি ভাইয়ের বানানো এই বাড়ির জন্যই তাদের ছোট্ট গ্রামটি পরিচিত হয়েছে চারিদিকে। তার এই বাড়িতে অনেক সময় দূর-দূরান্ত থেকে পাখিরাও আসে। উল্লেখ্য, এই বয়সেও ভগবানজি নিজের জমির দেখাশুনা করেন। জানা গেছে, তার দুই ছেলেও কৃষি ব্যবসার সাথেই যুক্ত রয়েছেন।