‘কোনও কুকুরও দেখতে যাবেনা হৃত্বিকের সিনেমা’, ভাইজানের কথা শুনে সলমনকে ধুয়ে দিয়েছিলেন হৃত্বিক, বলিউডের এই দুই অভিনেতার মধ্যে বন্ধ কথাবার্তা, মুখ দেখাদেখি
বলিউড হোক বা টলিউড, সব অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো হয় না। কিছু কিছু অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে রেষারেষি থেকে সম্পর্কে কিছুটা তিক্ততা থাকে। তেমনি বলিউডের দুই সুপারস্টার সালমান খান এবং ঋত্বিক রোশনের মধ্যে সম্পর্ক বিশেষ ভালো নয়। সালমান খান ঋত্বিক রোশনের একটি ছবিতে নেগেটিভ মন্তব্য করার পর থেকে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। যার কারণে সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একসঙ্গে দেখা গেল হৃত্বিক রোশন এবং সালমান খানকে সেরকম ভাবে কখনোই একসঙ্গে দেখা যায়নি।
একসময় সালমান খান এবং সোহেল খান একটি ছবির প্রচারের সময় ঋত্বিক রোশন কে অপমানিত করেছিল অভিনেতা সোহেল খান। নাসিরুদ্দিন সিদ্দিকের সঙ্গে ঋত্বিক রোশনের তুলনা করেছিল যার কারণে অপমানিত বোধ করেছিলেন হৃত্বিক রোশন। পরবর্তীকালে সালমান খানের কথার যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন ঋত্বিক যার কারণে প্রশংসা পেয়েছিলেন নেটিজেনদের কাছ থেকে। ২০০০ সালে হৃত্বিক রোশন পরিচালক তথা অভিনেতা এবং তার বাবা রাকেশ রোশনের ছবি ‘কাহোনা পেয়ার হে’ এর হাত ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেছিলেন। দর্শক মহলে এই ছবির দারুন সুপার হিট হয়েছিল এমনকি বর্তমান সময়ে এই ছবির জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে হৃত্বিক রোশন কে ছোট করেছিলেন সালমান খান। ঋত্বিক রোশনের ছবি ‘গুজারিশ’ নিয়ে কুমন্তব্য করেছিলেন সালমান খান যার কারণে দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
২০১০ সালে সালমান খান একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বলেছিলেন যে “এই ছবি চলাকালীন হলে মাছি উড়ছিল, কিন্তু কোনও মশা দেখতে যায়নি, আরে, কোনও কুকুর যায়নি।” সালমানের পাশাপাশি সোহেল খানও হৃত্বিক রোশন কে নিয়ে ব্যঙ্গ করেন।
২০১৬ সালে ‘ফ্রিকি আলি’ নামক একটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন সোহেল খান এবং সেখানে অভিনয় করেছিলেন নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। সেখানেই সোহেল খান ঋত্বিক রোশন কে নিয়ে ব্যঙ্গ করেন। তিনি বলেন যে “নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি মাত্র তিন বছরে যেটা করে দেখিয়েছে আগামী ১০ হাজার চেষ্টা করলেও হৃত্বিক রোশন সেই কাজ করতে পারবে না।” তবে এত অপমানের পরেও হৃত্বিক রোশন সালমান খানের অপমানের জবাব দিয়েছিলেন তিনি বলেছিলেন “আমি সবসময় সালমানকে একজন ভাল মানুষ বলে মনে করেছি, যাকে আমি দেখেছি এবং প্রশংসা করেছি এবং এখনও করি। তিনি সবসময় একজন নায়ক ছিলেন এবং সবসময় থাকবেন।তবে আমি মনে করি একজন অভিনেতার এতটা অহংকারী হওয়া উচিত নয়। আপনি যখনই একজন সুপারস্টার হয়ে যাবেন তখনই আপনার কোমল হৃদয় থাকা জরুরী তাহলেই আপনি দর্শকদের ভালোবাসা পাবেন।”