সোনু সুদের জন্মদিন: ট্রেনের টয়লেটের পাশে এক কোনায় শুয়েও সফর করেছেন! বহু স্ট্রাগলের পর সাফল্য এসেছে জীবনে জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক অভিনেতার আজকের সোনু সুদ হয়ে ওঠার লড়াইয়ের কাহিনি
সোনু সুদ, লকডাউন এরপর থেকেই অভিনেতা ‘অভিনেতা’ তকমা ছেড়ে নিজেকে উন্মোচিত করেছেন ত্রাতার ভূমিকায়। খুব কম জনই এমন উদারমনস্ক হতে পারেন। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে যখন লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ আটকে পড়েছিলেন তখন তাদের বাড়ি ফেরার পথ দেখিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক সাধারণ মানুষের কাছে ঈশ্বর স্বরূপ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
ছোটবেলা থেকে কম স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে তিনি জীবন কাটান নি। তার কাছে অভাব ছিল না কিছুই। তবে তিনি ছোট থেকেই মূল্য দিতে শিখেছিলেন বাবার পরিশ্রমকে। দীক্ষিত হয়েছেন মায়ের দেওয়া শিক্ষায়। অভিনেতার মা সবসময় বলতেন, “কাউকে সাহায্য করতে না পারলে নিজেকে কখনো সফল বলা উচিত নয়।”
তিনি মাকে দেখেছেন বিনা পারিশ্রমিকে শিশুদের পড়াতে, বাবা কে দেখেছেন দোকানের বাইরে লঙ্গরের ব্যবস্থা করতে। ছোটবেলা থেকে এভাবে বড় হয়েছেন বলেই আজ নির্বিঘ্নে নিজের বাড়ি গাড়ি সব বন্ধক রেখে মানুষকে সাহায্য করার আগে দু’বার ভাবেন না তিনি।
বহু স্ট্রাগেলের পর অভিনেতা জীবনে সাফল্য এসেছে। নাগপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় তিনি টিকিট ছাড়াই বাস বা ট্রেনে সফর করতেন। প্রথম মুম্বাই পৌছানোর সময় ট্রেনের রিজার্ভেশন ছিল না তার কাছে। এ প্রসঙ্গে বোন মালবিকা জানিয়েছেন,”ট্রেনে টয়লেটের সামনের এক অংশের শুয়ে সফর করেছে ও। বাবার পাঠানো টাকার যতটা সম্ভব বাঁচানোর চেষ্টা করত।”
মডেলিং ইন্ডাস্ট্রি থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেন অভিনেতা সোনু, সেই সময়ে মুম্বাইয়ের একটি ছোট ঘরে থাকতেন তিনি। ঘর এতটাই ছোট ছিল যে তার কোন পাশ ফেরার জায়গা থাকত না। জায়গার অভাবে তিনি সোজা হয়ে শুয়ে থাকতেন। তার জীবনের প্রথম ছবি মুক্তি পাওয়ার পর বাড়ি গিয়ে তিনি বলেছিলেন,”আজ আমি ট্রেনের সিটে বসে এসেছি। খুব ভালো লাগছে।”
মুম্বাই যাওয়ার পরে তিনি নিজেকে এক বছর সময় দিয়েছিলেন। মনে মনে ভেবে রেখেছিলেন তিনি যদি এই এক বছরের মধ্যে আর কোন কাজ না পান তাহলে তিনি এখান ছেড়ে চলে যাবেন। তবে না, জীবন তাকে নিরাশ করেনি।