নেতাজী বলে ডাকলেও কতটুকু জানি আমরা সুভাষ সম্পর্কে? জানেন কী সারাদেশে তাঁর নামে আছে একটি রেল জংশন?
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী, একনিষ্ঠ দেশ প্রেমিক, দেশ নায়ক তাঁর সম্পর্কে আরো যতো বিশেষণ ব্যবহার করা হোক না কেনো সেই সবটাই যেন কম পড়বে। তাঁর জন্মদিন ২৩ শে জানুয়ারি। তাঁর ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী আমরা পালন করলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা জানি না তিনি কোথায় আছেন। সেই সময় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশনায়ককে হারিয়ে যেতে হয় তাঁর দেশের কারণেই। তবে এখন বিশেষত যুব প্রজন্মের মানুষ তাঁর জীবনের রহস্যময় ঘটনার জন্য ব্যথিত।
দেশের মহান এই দেশনায়ককে চিরস্মরণীয় করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ নেন। সরকার থেকে এমনকি সরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকেও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চির স্মরণীয় করার জন্য এমনই এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দেশের একটি রেল জংশন রাখা হয় তাঁর নামে। এই রেল জংশনটি সম্পর্কে আমাদের অনেকেই হয়তো অজানা।
আপনারা হয়তো চিনবেন গেমো রেল স্টেশনকে। এই রেলস্টেশনটির সম্পূর্ণ নাম ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু গেমো রেল জংশন’। এই রেল স্টেশনটি অবস্থিত ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। এই জংশন থেকে বারকাকানা, মুরি, আদ্রা বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করে এই ট্রেন। তবে এই স্টেশন থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে নামাঙ্কিত করার পেছনে একটি কারণ রয়েছে। সেটাও হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই।
ভারতবর্ষ তাঁর দেশ, ভারতমাতার সাহসী সন্তান তিনি, তাঁর দেশকে পরাধীনতা দাসত্বের বেড়াজাল থেকে মুক্তি দিতে বিভিন্ন দেশে ঘুরেছিলেন। নিজের পরিবার সংসার স্ত্রী সন্তান সবকিছু ত্যাগ করে দেশের উদ্দেশ্যে নিঃস্বার্থে দাম করেছেন নিজের জীবন। ব্রিটিশরা, রীতিমতো তাঁর ভয়ে আতঙ্কিত থাকতো। চিন্তায় তাঁদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়ে মরিয়ার আর মতো সুভাষকে খুঁজে বেরিয়েছেন তাঁরা।
সেই সময় এই গেমো স্টেশনে রাত্রি যাপন করেন নেতাজি। পরবর্তীকালে এখান থেকেই ১৯০৬ সালে কালকা মেলে চড়ে পেশোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তাই এই স্টেশনটিকে বিশেষ মাহাত্ম্য দিয়েছে ভারত সরকার। ১৯০৯ সালে এই রেলস্টেশনটিকে আধুনিকরণ করা হয়। তারপরেই স্টেশনের নামকরণ করা হয় ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু গেমো রেল জংশন’।