জন্মের এক মাসের মধ্যে বাবা মারা যায়, কষ্ট করে বড় হয়ে আজ বিনোদন দুনিয়ার অন্যতম পরিচিত মুখ অস্মিতা, জীবনের কঠিন লড়াইয়ের দিনগুলি জানলে চোখে জল আসবে আপনারও
টেলিভিশন পর্দায় এখন অনেকেই তাকে প্রত্যেকদিন দেখেন। এই মুহূর্তে খেলনা বাড়ি(Khelna Bari) ধারাবাহিকে ডক্টর কথাকলি বসুর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অস্মিতা চক্রবর্তীকে(Ashmita Chakraborty)। অল্প সময়ের মধ্যে ছোট পর্দায় বেশ পরিচিতি মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। এর আগেও দেখা গিয়েছে আরো কয়েকটি ধারাবাহিকে।
ক্যামেরার সামনে প্রত্যেকদিন যারা আসেন এবং তাদের যারা দেখেন দূর থেকে দেখে মনে হতেই পারে তাদের জীবন রূপকথার মতোই সাজানো। কিন্তু তাদের ভেতরে ওটা কষ্ট জমে আছে তা বোঝা ওতো সহজ নয়। এমন কিছু কিছু অতীত রয়েছে যা শুনলে সত্যিই অবাক হয়ে যেতে হয়। কতটা কষ্ট করে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় জীবনের জন্য।
তেমনই এক লড়াইয়ের যোদ্ধা অস্মিতা চক্রবর্তী। দিদি নাম্বার ওয়ান(Didi No 1)-র মঞ্চে এসে সে কথাই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সঙ্গে ছিলেন তার মা পম্পা চক্রবর্তী। চোখে ছলছল জল। মেয়েকে পাশে নিয়ে সেই পুরনো দিনের কথায় ফিরে গেলেন তারা। মাত্র এক মাস বয়সে আচমকাই বাবাকে হারাতে হয় অস্মিতাকে। অভিনেত্রীর মায়ের কথা অনুযায়ী,’ তখন ওর এক মাস বয়স। আমার স্বামী মারা যান। না কোন শরীর খারাপ হয়নি। এক দুর্ঘটনায় অস্মিতা ওর বাবাকে হারায়’।
তারপর থেকেই মা এবং মেয়ের জীবনে আসে এক কঠিন যুদ্ধ। আর থাকতে পারেননি তারা। পম্পা দেবী চলে আসেন নিজের বাপের বাড়িতে। তারপর কষ্ট করে মেয়ে অস্মিতাকে মানুষ করেছেন। প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করে মেয়েকে বড় করেন। তবে জীবন এখন অনেকটাই সচ্ছল।
একের পর এক সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অস্মিতাকে। দর্শকদের কাছ থেকে বেশ ভালোবাসা জয় করেছেন তিনি। আপাতত মা মেয়ে মিলে গুছিয়ে নিয়েছে নিজেদের মতো করে তাদের সংসার।