অভিনয় ছাড়লে মন দিয়ে নিজের বুটিকটাই চালাতেন মানসী সিনহা, মানুষকে সাজাতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী
মানসী সিনহা বড়পর্দা হোক কিংবা ছোটপর্দা দু’জায়গাতেই বেশ পরিচিত একটা নাম। তিনি নায়িকা নন, তিনি অভিনেত্রী। তাকে মানুষ চিনেছেন তার সাবলীল অভিনয়ের জন্য। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে নামিদামী অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাথে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনয় দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত। বর্তমানে তিনি জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’তে ছোট ঠাম্মির চরিত্রে অভিনয় করছেন, যা ইতিমধ্যেই প্রশংসা পেয়েছে দর্শকমহলে। স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার পরিচালিত এই ধারাবাহিকে তার অভিনয় শুরু থেকেই নজর কেড়েছে দর্শকদের।
মানসী সিনহার কথা মনে পড়লেই তার একটা চেনা পরিচিত ছবি মাথায় আসে। আটপৌরে তাঁতের শাড়ি, ঢিলেঢালা খোপা, কপালের টিপ আর মাথাভর্তি সিঁদুর। পর্দায় বেশিরভাগ সময় অভিনেত্রীকে এই বেশেই দেখতে অভ্যস্ত দর্শকরা। তবে বাস্তবে অর্থাৎ রিয়েল লাইফে অভিনেত্রীর সাজগোজ খুবই প্রশংসার যোগ্য। বলাই বাহুল্য অভিনেত্রী ড্রেসিং সেন্স খুবই সুন্দর। এমনকি পোশাক ডিজাইনও করতে পারেন তিনি। তিনি যথেষ্ট প্রতিভাবান একজন অভিনেত্রী। পর্দার মানসী আর বাস্তবের মানসীর মধ্যে তফাৎ সেরম কিছুই নেই। তিনি রিয়েল লাইফেও ঘোর সংসারী। দুই ছেলে, স্বামী ও অভিনয়কে নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি।
মানসী সিনহা যদি অভিনেত্রী না হতেন কিংবা কোনো কারণে অভিনয় ছেড়ে দিতেন বা দেন তাহলে তিনি নিজের বুটিকেই মনোনিবেশ করবেন। তিনি যতটা না নিজে সাজতে ভালোবাসেন, তার থেকে অনেক বেশি মানুষকে সাজাতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী। নিজের শখ পূরণ করার জন্যই অভিনেত্রী নিজের একটি বুটিক খুলেছিলেন। বর্তমানে বুটিকের পোশাকের গুণেই বহু জনের মধ্যে অভিনেত্রীর এই বুটিকের পরিচিতি এসেছে।
শোনা যায় অভিনেত্রী নিজে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থেকে গামছা ও খাদি কাপড় নিয়ে এসে পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে সকলেরই পোশাক তৈরি করেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও সমস্ত পোশাকের ডিজাইন তিনি নিজেই করেন। তিনি কখনোই নিজের বুটিকের হয়ে বিজ্ঞাপন করেননি। তার এক্সক্লুসিভ ডিজাইন মানুষকে আকর্ষণ করে। যার জন্যই খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার এই বুটিক পরিচিতি পেয়েছে অনেকের মধ্যে। তবে অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন, অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সাহস এখনই তার নেই। কারণ সেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট অর্থ আসে তার কাছে, তবে পুরোদমে বুটিক চালানোর আত্মবিশ্বাস এখনো জুটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তবে ভবিষ্যতে এই বুটিক নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা রয়েছে মানসী সিনহার।