১৩৭ কোটির মালিক হয়েও সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করেন নানা পাটেকার! ফার্মহাউসে চাষের টাকা দান করে দেন গরীবদের
নানা পাটেকার ,নাম টা আমাদের কারোরই অজানা নয়। সিনেমা জগতে এক খ্যাতনামা মুখ তিনি। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জিতে নিয়েছেন বহু পুরস্কার। পাটেকার ১৯৭৮ সালে ‘গমন ‘ সিনেমার ‘বাসু’ চরিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিনয় জগতে পা রাখেন।
১৯৮৯ সালে ‘পারিন্দা’ সিনেমার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ে জাতীয় পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সম্মানিত হন অভিনেতা নানা পাটেকার। ১৯৫১ সালে মহারাষ্ট্রের একটি মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি ।
বলিউডের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা দের মধ্যে একজন হলেন নানা পাটেকার। অনেক বড় বড় বাজেটের ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তার অভিনয় মন্ত্রমুগ্ধ বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনুরাগীরা। আট থেকে আশি সবারই মন জয় করেছেন।
সুতরাং তার হাই লাইফস্টাইল বা তথাকথিত হাইপ্রোফাইল লাইফস্টাইল জীবন যাপন করতে তিনি পারেন না। প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু একই রকম অবস্থা রয়ে গেছে তার।
বর্তমানে একটি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী তার এখন সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল ফার্ম হাউস থেকে দামি যানবাহন। শোনা যায় অভিনেতা প্রত্যেকটি ছবিতে সাইন করতে নাকি এক কোটি টাকা নিয়ে থাকেন।
বিলাসবহুল ফার্ম হাউসে রয়েছে সাতটি বড় রুম এবং একটি বিরাট বড় হলঘর। তিনি সেখানে ছুটি কাটাতে যান। এর পাশাপাশি ফার্ম হাউস সম্পর্কে একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যেটা হলো, এই ফার্ম হাউসের চারিপাশে ধান গম এবং ছোলা চাষ করেন তিনি।
এই ফসল বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন হয়, সেই অর্থ তিনি সেখানকার কাজ করা লোকেদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেন। তার এই বিরাট উচ্চ মন ও সাধারণ জীবনযাপন নিয়েই খুশি থাকেন , তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা না তিনি।