ঘুরে গেলো ভাগ্যের চাকা! মাত্র ২৫ বছর বয়সেই কোটি টাকার মালিক পবনদীপ, রেকর্ডিং প্রতি তার পারিশ্রমিক শুনলে অবাক হবেন
গতবছর ‘ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১২’র চ্যাম্পিয়ন পবনদীপ রাজন। তার সুরেলা কন্ঠে মেতেছিল ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ। তার গানে মুগ্ধ হয়েছিল ভারতের একাধিক মানুষ। শুধুমাত্র দেশে নয় বিদেশেও রয়েছে তার অনুরাগী। যত দিন যাচ্ছে তার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও। বর্তমানে তার বয়স মাত্র ২৫। আর এই বয়সেই তিনি পেয়েছেন এক বিশাল সাফল্য। গায়ক হিসেবে তিনি সফল, তা বলাই যায়। এই বয়সেই তিনি কোটিপতি। জানেন প্রতিটি রেকর্ডিং শেষে তিনি কত পারিশ্রমিক নেন? জানলে অবাক হবেন।
মাত্র আড়াই বছর বয়স থেকেই তবলা বাজাতে পারতেন পবনদীপ। যার জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। সেই থেকেই তার পরিচয় সুরের সাথে। ছোট থেকেই গায়ক হতে চেয়েছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ান আইডলের পাশাপাশি ২০১৫ সালে ‘দা ভয়েস অফ ইন্ডিয়ার’ও বিজেতা হয়েছিলেন পবনদীপ। উত্তরাখণ্ডের ছেলে তিনি। ২০১৫-এ রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমেই সঙ্গীত জগতের সাথে পরিচিত হতে শুরু করেছিলেন গায়ক। বর্তমানে তার পরিচিতির বিস্তার ঘটেছে অনেকটাই।
ইন্ডিয়ান আইডলে বিজেতা হওয়ার আগেই তিনি রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হিমেশ রেশমিয়ার ডিরেকশনে গান গেয়ে ফেলেছিলেন। জয় পাওয়ার আগে থেকেই তার সুরের জাদুতে মুগ্ধ ছিলেন সকলেই। তিনি একজন ভালো গায়ক হওয়ার পাশাপাশি একজন ভাল বাদ্যযন্ত্র বাদকও। তিনি গিটার, পিয়ানো, ড্রাম, ঢোল, কীবোর্ডের মত একাধিক বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন এবং তা বেশ দক্ষতার সাথে।
ইন্ডিয়ান আইডলের বিজেতা হওয়ার পর তিনি পুরস্কার হিসেবে ট্রফির পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন ২৫ লক্ষ টাকা ও একটি মারুতি সুইফট গাড়ি। বর্তমানে তিনি দেশ-বিদেশে একাধিক লাইভ কনসার্ট করে বেড়াচ্ছেন। দিচ্ছেন ডিরেকশন। একাধিক মিউজিক ভিডিওতে করেছেন প্লেব্যাক। বর্তমানে তিনি রীতিমতো সফল একজন সঙ্গীত শিল্পী, তা বলাই বাহুল্য। এত অল্প বয়সেই তার এত সাফল্য সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। উল্লেখ্য, পবনদীপ রাজন প্রতিটি রেকর্ডিং পিছু পারিশ্রমিক নেন ২০ লক্ষ টাকা।
শুধুমাত্র একজন গায়ক হিসেবে নয়, একজন ভালো সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও পরিচিতি অর্জন করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মরাঠি ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করে ফেলেছেন তিনি। শুধুমাত্র হিন্দি কিংবা মারাঠি নয় বাংলা গানও গেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফ থেকে পবনদীপকে ‘ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডর অফ উত্তরাখণ্ড’-এর খেতাবে সম্মানিত করা হয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এত অল্পবয়সে ও এত অল্পসময়ে সচারচর এত সাফল্য কেউ পায় না। তবে তিনি ব্যতিক্রমী, তার নিজের গান দিয়েই প্রতিমুহূর্তে বুঝিয়ে দেন।