কোটি কোটি টাকার মালিক সাইফ আলি খান, তবুও তার সম্পত্তির এক কানাকড়িও পাবেনা তার সন্তানেরা
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা দের মধ্যে একজন হলেন সাইফ আলি খান। এর পাশাপাশি তিনি বলিউডের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছেন, এছাড়াও তাঁর আরেকটি পরিচয় রয়েছে নবাব বংশের বংশধর তিনি। বিশাল বড় পাতৌদি প্যালেস এর মালিক তিনি, যার মূল্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। আমরা সাধারণভাবে জানি বাবা মায়ের সম্পত্তি টাকাপয়সা সমস্ত টাই তার সন্তানরাই পায় কিন্তু সাইফ আলী খানের দুই সন্তান এর কেউই সাইফ আলী খানের সম্পত্তির এক কানাকড়ি ও পাবে না।
আসল ব্যাপার হলো সাইফ আলী খানের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এখন বিপদের মুখে রয়েছে। তার সমস্ত সম্পত্তি নিয়ে চলছে মামলা, তাই যদি সেই সম্পত্তির অধিকার চাইতে যায় তাকে সবার আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে। এমনকি ছেলে তৈমুরের জন্য এই নিয়মই বরাদ্দ। আসলে পাতৌদি প্যালেস এর সম্প্রতি শুরু থেকেই বিতর্কিত। বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা হয়েছে এই প্যালেসের সম্পত্তি ঘিরে বর্তমানেও মামলা চলছে।
পাতৌদি পরিবারের ভোপালের বেশিরভাগ সম্পত্তি ‘Enemy Property Act’ এর আওতায় রয়েছে। যার ফলে এই সম্পত্তি ঘিরে বহু বছর ধরে বিতর্ক চলে আসছে। ভোপালের নবাব ছিলেন হামিদুল্লাহ খান , তিনি তার সমস্ত সম্পত্তি তার বড় কন্যা আবিদার নামে করে গিয়েছেন। কিন্তু আবিদা পরবর্তীকালে পাকিস্তান চলে যায়, যার ফলে হামিদুল্লাহ এর মেজ কন্যা সাজিদা ওই সম্পত্তি অধিকার করে নেয়। আর সেই সাজিদার নাতি হলেন সাইফ আলি খান।
সেই অনুযায়ী সাইফ আলী খান হামিদুল্লাহের নাতি হন। সাজিদা পাতৌদির নবাব ইফতিখাঁর আলীর সাথে বিবাহ করেছিলেন। বিয়ের পর সাজিদার এক ছেলে ও দুই মেয়ে হয়। ছেলের নাম মানসুর আলী খান পাতৌদি ও মেয়েদের নাম ছিল সালেহা সুলতান ও সাবিহা সুলতান। দুই মেয়ে বিয়ে হয়ে চলে যাবার পর, মনসুর আলী খান সমস্ত সম্পত্তির মালিক হন আর মানসুর আলী খানের পুত্র হলেন সাইফ আলী খান। সেই হিসাব অনুযায়ী সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী সাইফ আলী খানই হন। কিন্তু ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সাজিদা নয় আবিদা এই সেই সম্পত্তির আসল মালকিন তিনি পাকিস্তান চলে গিয়েছেন। সেই অনুযায়ী বর্তমানে ওই সম্পত্তির মালিকানা আর ভারতীয় নয়। তাই শরীফপুর তৈমুর ও সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারবে না যদি তাকে সেই সম্পত্তির দাবি করতে হয় তাহলে তাকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে।