১৪ বছর বয়সেই প্লেন ক্রাশে মারা যান তারুণী, মনে আছে রসনা গার্লকে! রসনা গার্ল তরুণী সচদেবা কে মনে আছে? মৃ’ত্যু’র আগে জানতে পেরেছিলেন কারণ বন্ধুদের বলেছিলেন সব কিছু
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা পেতে কয়েক বছর লেগে যায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। এই বলিউডে অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে আসেন কিছু খুদে তারকারাও। তারা খুব সহজেই দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বলিউডের রসনা গার্ল অর্থাৎ তারুণী সাচদেব।
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই অ্যাড দুনিয়ায় ও অভিনয় জীবনে বিশাল সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। এত ছোট বয়সে এত সাফল্য অনেকেই হয়তো পাননা। তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সারা জীবনেও এত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননা দর্শকমহলে, যতটা কয়েক বছরেই পেয়েছিলেন সাচদেব। ২০০২ সালে অভিনয় জীবনে ডেবিউ হয় তার।
২০০৪ সালে প্রথম সিনেমায় ডেবিউ হয় তার। মালায়ালাম সিনেমা ভিলিনাক্ষেত্রমে (Vellinakshatram) প্রথম অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপর সত্যম ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ২০০৯ সালে বলিউডে অমিতাভ বচ্চনের সাথে ‘পা’ ছবিতে তার সহপাঠীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সাচদেব। এরপর ২০১৪ সালে ভেত্রী সেলভা ছবিতে শেষ অভিনয় করেছিলেন তিনি।
এছাড়াও একাধিক অ্যাডে দেখা মিলেছিল তার। তিনি দর্শকদের মধ্যে ‘রসনা গার্ল’ নামে পরিচিত ছিলেন। আজও তিনি ঐ নামেই পরিচিত বহুজনের কাছে। কোলগেট, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, সাফোলা অয়েল, কেশর বাদাম মিল্ক ইত্যাদি প্রোডাক্টের অ্যাডে দেখা মিলেছিল তার। এছাড়াও ৫০টি কমার্শিয়ালে কাজ করেছেন তিনি।
তবে হয়তো অনেকেই জানেন না মাত্র ১৪ বছর বয়সেই তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। শেষ সিনেমা ‘ভেত্রী সেলভা’র শুটিংয়ের পর তিনি নেপালের দিকে ছুটি কাটানোর জন্য রওনা দিয়েছিলেন মায়ের সাথে। নেপাল এয়ারপোর্টেই প্লেন ক্রাসে মারা যান তিনি। তার সাথে তার মা থাকায় তিনিও সেদিন মারা যান সেখানেই।
শোনা যায়, তিনি যাওয়ার আগে তার বন্ধুদের বলে গিয়েছিলেন ঐ শেষবার তাদের সাথে দেখা হচ্ছে তার। তারা জিজ্ঞেস করেছিল সে কেন এমন কথা বলছে তার উত্তরে সে বলেছিল সে এমনি মজা করছে। এরপরেই ঘটে যায় সেই ঘটনা। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই তিনি সকলকে ছেড়ে, তার সাফল্য ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন যা আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় অনেকের।