ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করার সময় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল চরিত্রটি, বেরিয়ে এলো বিস্ময়কর রহস্য, আক্ষেপ রয়ে গেলো অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর
একসময় টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। একসময় টলিউডকে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিনীত ছবি এখনো দর্শকের মনে গেঁথে রয়েছে। অসংখ্য ছবির মাধ্যমে দর্শকের থেকে পেয়েছেন সম্মান, ভালোবাসা। তবে নিজের অভিনয় জীবনে একটা আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে তার। সেটা হল গোয়েন্দা চরিত্রে ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করা হয়নি তার।
কমার্শিয়াল বাংলা ছবির চাহিদা যেমন রয়েছে তেমনি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোয়েন্দা ছবি চাহিদাও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা ছবি তৈরি হয়ে গিয়েছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এই গোয়েন্দা ছবিগুলির মধ্যে কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন যেমন ‘কিরীট রায়’, ষড়রিপু’, ‘ষড়রিপু ২’ ইত্যাদি। কিন্তু এসবের মধ্যে অভিনেতার অন্যতম ইচ্ছে ছিল ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করার। এক সাক্ষাৎকারে অভিনীত একবার জানিয়েছিলেন “ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করার দারুন ইচ্ছে ছিল আমার, কিন্তু বেনু সেই চরিত্রটা কেড়ে নিল”। এখানে বেনু বলতে বোঝানো হয়েছে ফেলুদা চরিত্রের অভিনীত অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী কে।
এমনটা নয় যে অভিনেতা ডিটেকটিভ চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাননি, তা একেবারেই নয়। এর আগেও যেমন তিনি কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন সম্প্রতি ‘মৃত্যুর রং ধূসর’ নামের একটি ডিটেকটিভ ছবিতে ডিটেকটিভ এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা। ছবির গল্প অনুযায়ী শহরের কিছু ছেলে মেয়ে খুন হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার কূল কিনারা পাচ্ছে না পুলিশ। বাধ্য হয়ে লালবাজার ডিপার্টমেন্ট থেকে বিশেষ ফোর্স পাঠানো হয় এই সমস্ত ঘটনা তাই একজন সাইকো কিলার এর কাজ।
ছবির পরিচালক ছবির নামকরণ এর সময় বেশ চিন্তিত ছিল। কিন্তু সেই সময় চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বুদ্ধিতেই ছবির এই নামকরণ করা হয়। ইতিমধ্যেই ছবির শুটিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিনেতা নিজেও জানিয়েছেন যে “আমি এই ধরনের রহস্য গোয়েন্দার ছবি করতে এমনিতেই ভালোবাসি, তাই কাজটাও খুব মন দিয়ে আনন্দের সঙ্গে করছি।”