অবশেষে সামনে আসলো তথ্য! পুরীর মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিছু আশ্চর্যজনক ঘটনা যা আপনি জানলে অবাক হবেন
উড়িষ্যা সাধারণত পুরীর সমুদ্র এবং জগন্নাথ দেবের মন্দির এর জন্য জনপ্রিয় সকলেই পুরীতে জগন্নাথ দেবের মন্দির দর্শন করতে যান পুজো দিতে জানে তবে অনেকেই হয়ত পুরীর মন্দিরের এই গল্প গুলির কথা জানেন না এই গল্পগুলিতে রয়েছেন আশ্চর্যজনক কিছু ঘটনা যা আমাদের অবিশ্বাস্য লাগবে। আজ সেরকমই কিছু ঘটনা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব।
১. পুরীর মন্দিরের মাথায় যে পতাকা রয়েছে তার সর্বদাই হাওয়ার বিপরীত দিকে উড়তে থাকে। এই ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায়নি। সেখানে এমন কোন রহস্যময় ঘটনা রয়েছে।
২. পুরীর মন্দিরের উপরের সুদর্শন চক্র ২০ কেজি ওজনের। পুরী শহরের যেকোনও জায়গা থেকে এই চক্রকে দেখা যায়। আড়াল আবডাল কাটিয়ে তা কীভাবে দেখা যায়, তা নিয়েও রয়েছে রহস্য। এই ভারী চক্র এমন মন্দিরের মাথায় ঠিক কোন অবস্থানে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য রয়েই গিয়েছে।
৩. অদ্ভূত ঘটনা হল, পুরীর মন্দিরের ঠিক মাথার উপর দিয়ে আজ পর্যন্ত কোনও পাখি উড়তে দেখা যায়নি। এমনকি মন্দিরের মাথা দিয়ে যায়নি বিমান। অনেকেই মনে করেন জগতের নাথ জগন্নাথের উপরে কেউ নেই, সেই বার্তাই এই মন্দির বছরের পর বছর দিচ্ছে।
৪. পুরীর মন্দিরের ছায়া দিনের কোনও একটি সময়ও পড়ে না মাটিতে। কেন এমন ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে বাস্তুকারদের মধ্যে বহু বিতর্ক চলেছে
যুগযুগ ধরে।
৯. জগন্নাথ মন্দিরের মোট ৪ টি দরজা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল সিংহদ্বার। সিংহদ্বারের আগে পর্যন্ত গেলেই সেখানে সমুদ্রের হাওয়ার শব্দ শোনা যায়। তবে তারপর মন্দিরে প্রবেশ করলে আর কোনও শব্দই শোনা যায়না।
১০. পুরীতে আঠারোশো বছরের পুরনো রীতি অনুযায়ী, প্রতিদিন ৪৫ তলা পার করে একজন পুরোহিত মন্দিরের একেবারে উপরে উঠে যান। সেখানে গিয়ে পতাকা লাগিয়ে আসেন। আজ পর্যন্ত এই কাজের অন্যথা হয়নি।
১১. পুরীর মন্দিরের পাকশালাও দেখার মতো। পর পর হাঁড়ি বসিয়ে সেখানে একটি বিশেষ পদ তৈরি হয়। রেকর্ড বলছে সেখানে ২ হাজার থেকে ২০ হাজার পূণ্যার্থী রোজ ভোগ খান। আর আজ পর্যন্ত ভোগ কোনও দিনওই শেষ হয়নি।