স্কুলের মুখ দেখেননি এই ঠাম্মা, আজ নিজের রান্নাঘর থেকে উপার্জন করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, নিজের হাতের রান্নার জাদুতেই আজ গোটা দেশকে মাতিয়ে রেখেছে মহারাষ্ট্রের এই বৃদ্ধা
কথায় আছে চেষ্টা থাকলে মানুষ সবকিছু করতে পারে। শুধুমাত্র উদ্দেশ্য সঠিক হবে, তাহলেই সকলের নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে। সেরকম একজন হলেন মহারাষ্ট্রের একজন বয়স্ক ঠাম্মা সুমন ধামেন। এই বৃদ্ধের জন্ম নগর পুনে রোডের সুপা গ্রামে। ওই বৃদ্ধারা ছিলেন ৪ ভাই ৫ বোন। শৈশবে ওই বুড়ি ঠাকুমা নিজের মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের রান্না শিখে ছিলেন এবং বিয়ের পরে তিনি তার শাশুড়ি মার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের রান্না শিখে ছিলেন আর সম্প্রতি কোন পরিস্থিতিতে যখন সারাদেশে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছিল তখনই ঠাকুমার অষ্টম শ্রেণীতে পড়া একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে রান্নার ভিডিও গুলো পোস্ট করতে থাকেন এরপর এই ভাইরাল হয়ে যায় এই ঠাকুরমা বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেলে ১৫০ টিরও বেশি রান্নার ভিডিও রয়েছে।
তিনি প্রতি মাসেই ইউটিউব চ্যানেল এর পক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। তার হস্তশিল্পের কাজ গোটা মহারাষ্ট্রে জনপ্রিয়। বর্তমানে তিনি আহম্মদ নগর থেকে দশ কিলোমিটার দূরে সরলা কাসার গ্রামে থাকেন। ঐ বৃদ্ধার প্রথম রান্নার ভিডিওটি ছিল ক্যারামেলাইজড ভেজিটেবিল।
বর্তমানে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা ১১ লক্ষ ৮০ হাজার। তবে এসবের মাঝে তিনি একবার হ্যাকিংয়ের কবলে পড়ে ছিলেন। তখন তিনি এতটাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন যে তিনি নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়েছিলেন। তবে তার সেই নাতি অনেক কষ্টে তার এই চ্যানেলকে ফিরিয়ে আনে আবার নিজের জায়গায়।
ঐ বৃদ্ধার রান্নার বিশেষত্ব হচ্ছে বৃদ্ধার হাতে নিজের তৈরি মসলা। ঠাম্মা এবং উনাদের এই ইউটিউব চ্যানেলটি ইউটিউব এর পক্ষ থেকে একটি গোল্ডেন প্লে বাটন পেয়েছে। শুরুতে নিজে ভিডিও সামনে আসতে কুন্ঠা বোধ করতেন ঠাম্মা, কিন্তু আস্তে আস্তে তার সেই জড়তা কেটে গিয়েছে এখন সে সকলের প্রিয় রান্না ঠাকুমা।