‘হিজড়া বলে যারা আমাকে নিচু দেখাতো তারাই এখন স্যালুট করে’, শিবন্যা আজ সাব-ইন্সপেক্টর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রমে
আমাদের দেশে সর্বোচ্চ আদালত থেকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে সমকামিতাকে। তবে তাতেও কোনো লাভ হয়নি। মানুষের মানসিক পরিবর্তন এবং বিশেষ করে সামাজিক পরিবর্তন যতদিননা আসবে ততদিন এই সমস্যা থেকে যাবে। এখনো মানুষ সহজভাবে সমকামিদের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননা।
সমাজের বেশিরভাগ মানুষজনের মনে হয় সমকামী হওয়াপাটা পাপ। তারাও যে বাকি পাঁচজন মানুষের মত একজন স্বাভাবিক, সাধারণ মানুষ এটা মেনে নিতেই কষ্ট হয় বাকিদের। এ সমাজে বাকিদের মতো তাদেরও সমান অধিকার রয়েছে। তর এই সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজ আমরা জানবো তেমনই একজন মানুষ শিবন্যার কথা।
সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আজ শিবন্যা একজন সাব ইন্সপেক্টর হয়েছেন। তার মতে তারাও যদি সুযোগ পান তাহলে তারাও নিজেদের প্রমাণ করে দিতে পারেন। তারাও যে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারেন সেটাই তিনি প্রমাণ করে দিয়েছিলেন। হাই স্কুল এবং ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি স্নাতক পড়াশোনা শেষ করে টিরুভান্যমলাইয়ের জেলা আদালতে কিছু সময় প্যারালিগাল হিসেবে কাজ করেছিলেন।
পরে তিনি জেলা আদালতের কাজ ছেড়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন এবং কোচিংয়ের পাশাপাশি তিনি সাব-ইন্সপেক্টর পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। শিবন্যা হল তিরুভান্নামালাই জেলার প্রথম ট্রান্সজেন্ডার পুলিশ। যা অনেক কিছু প্রমাণ করে দিয়েছিল অনেকের সামনে।
ছোট থেকেই তাকে শুনতে হয়েছে নানা ধরনের মন্তব্য। কিন্তু তার পরিবারের প্রতিটি সদস্য যেকোনো পরিস্থিতিতে তাকে সাহস যুগিয়ে ছিলেন এবং তার পাশে ছিলেন। যা যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে লড়ে যেতে সাহায্য করেছিল। পরবর্তীকালে শিবন্যা ডিএসপি হতে চান। সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিযুক্ত হওয়ার আগেও তাকে শুনতে হয়েছে নানা মন্তব্য এবং সম্মুখীন হতে হয়েছে নানা কঠিন পরিস্থিতির। তবে এত কিছুর পরেও তিনি নিজেকে নিজের জন্য প্রমাণ করেছেন সকলের সামনে। সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন সুযোগের সদ্ব্যবহার তারাও করতে জানেন।