‘রঞ্জিত বাবুকে হিরো করবার জন্য বাবাকে অনেক লড়তে হয়েছে তখন’ শত্রু ছবির হিট প্রসঙ্গে কী বললেন অঞ্জন চৌধুরীর কন্যা চুমকি চৌধুরী?
জি বাংলার দিদি নম্বর ওয়ানে একবার এসেছিলেন চুমকি চৌধুরী। লালকুঠিতে বিক্রমের মা চরিত্রে যিনি অভিনয় করছেন সেই তনুকা চ্যাটার্জী বলেন,“অঞ্জন চৌধুরীর ছবি মানেই হিট আর সেই ছবিতে চুমকি চৌধুরীর একটা বিশাল জায়গা কিন্তু সেই জায়গায় চুমকি এতো হাম্বল যে বলার নয়।”রচনা তখন তার সাথে একমত হয়ে বললেন,“ হ্যাঁ চুমকি এত হিট হওয়া সত্ত্বেও ও চিরাচরিত ফিল্মি মেয়েদের মত নয়। ও ভীষণ ভালো।” এরপর চুমকি চৌধুরীকে রচনা জিজ্ঞেস করে,“ তুমি এরকম হয়েছে কি অঞ্জন চৌধুরীকে দেখে?” চুমকি তখন বলে,“ হ্যাঁ আমি বাবাকে দেখতাম বাবা ভীষণ বিনয়ী ছিলেন বাবা একজন ড্রেসারকেও পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেন।”
এরপর কথা প্রসঙ্গে চুমকি আরো বলেন যে, তিনি কোনদিনই নায়িকা হতে চাননি তার বাবা ‘হীরক জয়ন্তী’র জন্য নায়িকা খুঁজছিলেন, তখন কেউ একজন তার বাবাকে বলেছিলো বাড়িতেই তো নায়িকা আছে। আবার কথা প্রসঙ্গে চুমকি এও বলেন, তার বাবা কখনো চাননি যে তিনি অন্য কারো ছবিতে কাজ করুন। মহা সংগ্রাম ছবিতে কাজ করবার জন্য তিনি গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে কাজ করতে করতে তার বাবা তাকে এতবারই ফোন করছিলো যে বলার নয়। এরপর তরুণ জেঠু ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবির জন্য তাকে প্রস্তাব দিতে আসে কিন্তু তার বাবা অঞ্জন চৌধুরী তাকে ভালোবাসা ভালোবাসা ছবিতে কাজ করতে দেয়নি।
রচনা বলেন,“ এ নিয়ে তোমার জীবনে কোন আক্ষেপ ছিল না?” চুমকি বলে,“না আমার বরাবরই ইচ্ছে ছিল আমি বিয়ে করে সংসার করবো খাবো দাবো সুখে থাকবো।” তার স্বামী সজল দা কে বিয়ে করা প্রসঙ্গে চুমকি বলেন,“ বাবা বলল সজল খুব ভালো ছেলে। ওকে বিয়ে কর ভালো থাকবি। বাবার কথাতে বিয়ে করলাম।” ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের। এরপর অঞ্জন চৌধুরীর স্ট্রাগল সম্পর্কে চুমকি বলেন,“ তখন খুব ছোট ছিলাম, বুঝতাম না। কিন্তু মাকে দেখতাম মা একটার পর একটা গয়না খুলে খুলে বাবাকে দিত। সেগুলো দেখেছি। ‘শত্রু’ছবির আগে বাবাকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। রঞ্জিত বাবুকে হিরো করবার জন্য বাবাকে অনেক লড়তে হয়েছে তখন।”
View this post on Instagram