দুই বাড়ির পুজো সামলাচ্ছেন মহানায়কের নাতবউ! লক্ষীবরণ থেকে ভোগ সবটা নিয়েই জমজমাট দেবলীনার বিয়ের পরের প্রথম লক্ষ্মীপুজো
দেবলীনা কুমার, বর্তমানে বাংলা টেলিভিশন জগতে উঠতি অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। অভিনয় নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত থাকলেও পুজোর সময়টা অভিনেত্রী কাটান বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সাথেই। আবার বিজয়ার পর খুব শীঘ্রই চলে আসা লক্ষ্মীপূজায় ব্যস্ত ছিলেন অভিনেত্রী। একসাথে দুটো বাড়ি আবার নাচের স্কুল। মুখের কথা নাকি? শ্বশুর বাড়ি বলতে স্বয়ং মহানায়ক উত্তম কুমারের নাত বউ তিনি। আর আমাদের সকলেরই জানা সেই বাড়ির লক্ষ্মীপুজোর ইতিহাস। এখনো ঠিক ততটাই জাঁকিয়ে পালন হয় মা লক্ষ্মীর আরাধনা। আর সেই কাজে বিয়ের পর এই প্রথমবার হাত লাগালেন অভিনেত্রী দেবলীনা।
সবে মাত্র দু বছর হয়েছে দেবলীনা বউ হয়ে এসেছেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। সাথে অভিনেত্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৫ মিনিট। আবার অভিনেত্রীর নাচের স্কুল। সেখানেও কয়েক বছর হলে অভিনেত্রী শুরু করেছেন লক্ষ্মীপূজো। সব মিলিয়ে কেমন চলছে দেবলীনা লক্ষীপূজোর প্রস্তুতি পর্ব? এক বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানালেন, “আমার দুই বাড়ির দূরত্ব পাঁচ মিনিটের, সুতরাং খুব একটা অসুবিধা হয় না। গতকাল রাতে শ্বশুরবাড়িতে লক্ষ্মী এসেছেন। বরণ করেছি। সকালে স্কুলে প্রস্তুতি চলছে”।
একসাথে এতগুলো পূজোর প্রস্তুতি। কিন্তু সবটাই সামলাচ্ছেন অভিনেত্রী। দু জায়গাতেই কি ভোগ হচ্ছে এমনটাই প্রশ্ন করা হয়েছিল এক বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের তরফে। সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান, “ঘটি বাড়িতে এমনিতে অন্নপ্রসাদ হয় না। আমার নতুন বাড়িতে লুচি, আলুর দম, ধোকার ডালনা হবে। আর এখানে যে হেতু আমার ছাত্রছাত্রীরা মিলে আয়োজন করি তাই পোলাও, ছানা, পায়েস, পাঁচ রকম ভাজা এ সব করব”। পুরো বছর জুড়েই অভিনেত্রী ব্যস্ত থাকে নিজের কাজের জগতে। তবে পুজোর দিন তিনি একেবারে বাড়ির বড় গিন্নি। অভিনেত্রীর নিজের হাতে রান্না করা পোলাও আর পায়েস ভোগ দেওয়া হবে মা লক্ষ্মীকে।