বিয়ের আগেই হবু বৌমাকে জন্মদিনে উপহার দিতে থাইল্যান্ড নিয়ে ছুটলেন শ্রাবন্তী!শ্রাবন্তীর কুল মম অ্যাটিটিউড দেখে প্রশংসা করলেন নেটিজেন!
পুজো মেটার পরে অনেক তারকাই ঘুরতে গিয়েছেন, রোজকার জীবন থেকে নিয়েছেন ছোট্ট একটা ব্রেক। যশ আর নুসরত যেমন ছুটি কাটাচ্ছেন থাইল্যান্ডে, অন্যদিকে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও ছেলে ঝিনুককে নিয়ে গিয়েছেন থাইল্যান্ডে।
তবে শুধু ঝিনুক নয় জানা যাচ্ছে ঝিনুকের ঝিনুকের বিশেষ বান্ধবী দামিনী ঘোষও গিয়েছেন তাদের সাথে। দামিনীর জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার, বিদেশ থেকেই হবু বৌমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
অন্যদিকে দামিনী নিজের ঘুরে বেড়ানোর নানান রকম ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন দামিনী, সেখানে যদিও শ্রাবন্তীকে দেখা যাচ্ছে না। তবে শ্রাবন্তী আর ঝিনুক ও থাইল্যান্ডে আছেন আর এটা দেখেই দুইয়ে দুইয়ে চার করছেন সকলে।
শ্রাবন্তীর সঙ্গে তার ছেলে ঝিনুকের বয়সের তফাৎ খুব একটা বেশি নেই, তাই মা ছেলে নয় বরং ছেলের সাথে সমবয়সী বন্ধুর মতোই মেশেন শ্রাবন্তী, সুখ-দুঃখ ও অভিমান প্রেম-ভালোবাসা সবটাই একে অপরের সাথে শেয়ার করেন অকপটে।
ঝিনুকের প্রেমিকা যে দামিনী তা মোটামুটি সকলেই জানেন, এর আগেও একবার হবু বৌমাকে নিয়ে একসাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী তাই এইবারও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না,আবার দামিনীর যখন বৃহস্পতিবার জন্মদিন ছিলো, তাই অনেকেই দামিনীর ছবি আর শ্রাবন্তী ঝিনুকের থাইল্যান্ডে যাওয়া দেখে অনুমান করছেন যে, হবু বৌমার জন্মদিন উপলক্ষেই বিশেষ উপহার অভিনেত্রীর।
আরও পড়ুন : মদন মিত্র আর রচনা ব্যানার্জীর মাখামাখি ছবি দেখে কটাক্ষের বন্যা নেট দুনিয়ায়!
অন্যদিকে শ্রাবন্তীর সন্তানের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ এই এটিটিউডকে দেখে খুশি হয়ে গিয়েছেন নেটাগরিকরা। তাদের বক্তব্য প্রত্যেকটি মায়েরই উচিত এইভাবে সন্তানদের সাথে বন্ধুর মতো মেশা, তাহলে সন্তানরা নির্ভয় হয়ে সকল কথা মায়েদেরকে বলতে পারে আর তাদের মনের মধ্যে থাকা নানান রকম জটিলতা হতাশাও কমে। থাইল্যান্ডের ছুটি কাটানোর পরেই কাজে ফিরবেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন : কোয়েলের স্টারডমের কাছে পাত্তা পেল না “জগদ্ধাত্রী” অঙ্কিতা! প্রকাশিত হলো মহালয়ার টিআরপি তালিকা
তার হাতে এখন পরপর কাজ রয়েছে। জিতু কামালের সাথে লিভ ইন বিষয়বস্তুর ওপর একটি ছবি করছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন তার ছেলে যদি কখনো লিভ ইন সম্পর্ক করতে চান, তাহলে কি তিনি মেনে নেবেন? এর উত্তরে অভিনেত্রী পরিষ্কার জানান, না মেনে নেওয়ার কোন কারণ নেই যদি তার ছেলে ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই সে লিভ ইন করতে পারে, কারণ জীবন তো একটাই।