বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মারার হুমকি উত্তমকুমারকে! ভয়ে মুম্বাইতে ঠাঁই নিয়েছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার
৩-রা সেপ্টেম্বর আপামর বাঙালির কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন বাঙালির প্রিয় মহানায়কের জন্মদিন। আজও বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে উত্তম কুমারের নামটাই যথেষ্ট। মহানায়ক আজ আমাদের মধ্যে না থাকলেও তিনি চিরকাল অমর থাকবেন মানুষের মনে।
তবে মহানায়কের জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা সাধারণ দর্শক আজও জানেননা। অবশ্য সেই সমস্ত কথা জানা সম্ভব নয়। মহানায়কের জন্মদিনের দিন তার জীবনে ঘটে যাওয়া এক রোমহর্ষক ঘটনার কথা জানব।
অভিনয় জীবনের শুরুতেই পরপর ৭-টা ছবি ফ্লপ হয়েছিল অভিনেতার। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি তাকে ‘ফ্লপ মাস্টার জেনারেল’ নামটি উপহার দিয়েছিল। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে তার অভিনয়ে সত্তা প্রকাশ পেতে থাকে যা চমকে দিয়েছিল সকলকে। ১৯৬৫ সালের পর থেকে বাঙালির উত্তম কুমার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিলেন। এরপর ১৯৭০-এর পরবর্তী সময়ে আপামর বাঙালির কাছে মহানায়ক হয়ে উঠেছিলেন উত্তম কুমার।
নকশাল আন্দোলনের সময় উত্তম কুমারকে নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে তাঁর নিজস্ব মেকআপ রুমে কয়েকজন যুবক সশস্ত্র হানা দিয়েছিল। তারা মহানায়ককে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিলেন। যাতে রীতিমত ভয়ে শিউরে উঠেছিলেন অভিনেতা। এরপরই তিনি বম্বে মেলে মুম্বাইতে চলে এসেছিলেন।
মুম্বাইতে এসে মহানায়ক অভিনেতা অভিনেতা অভি ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন। এরপরে তিনি সান্তাক্রুজের ৭ নম্বর রোডের বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে ছিলেন। সেইসময় তার সাথে সুপ্রিয়া দেবীও ছিলেন।
এই ঘটনা ঘটার পর মহানায়ক রীতিমতো আতঙ্কিত ছিলেন বহুদিন। তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন তিনি আর কলকাতায় ফিরবেননা। শোনা যায় তিনি বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, “বিশু, চল, তুই আর আমি মিলে এখান থেকেই বাংলা ছবি বানাব। আর এখানে বসেই বাংলা ছবির শুটিং করব।” জানা যায় এই ঘটনার পর মহানায়ক এটাই ধরে বসেছিলেন যে তিনি আর কখনই কলকাতায় ফিরতে পারবেননা। এরপর অবশ্য পরবর্তীকালে তিনি আবারও কলকাতায় তার নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন।