ছত্রিশগড়ের ৩ চক্ষু বিশিষ্ট বাছুরকে নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও ভাইরাল হতেই হতবাক নেটিজেনরাও
সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে আমরা এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকি, যা হয়ত সচরাচর আমরা আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটছে দেখিনা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হচ্ছে ছত্রিশগড়ের একটি ঘটনাকে নিয়ে। ঘটনাটি শুনলে রীতিমত অবাক হয়ে যাবেন আপনারাও।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ছত্রিশগড়ের রাজনন্দগাঁও জেলার বাসিন্দা নিরাজ চান্দেলের ঘরে জন্ম নিয়েছে তিন চক্ষু বিশিষ্ট একটি বাছুর। আর এই বছরের জন্ম হওয়ার পর থেকেই নিরাজের পাশাপাশি অবাক হয়েছেন বাদবাকি গ্রামবাসীরাও। গ্রামবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই বাছুরটিকে ভগবান শিবের অবতার হিসেবে ধরে নিয়েছেন। এমনকি ঘটা করে পুজোও শুরু করে দিয়েছেন। নারকেল ও টাকা দিয়ে গ্রামবাসীরা পূজো দিতে আসছেন নিরাজের বাড়িতে। তবে জানা গিয়েছে, যে গোরুটি এই বাছুরটির জন্ম দিয়েছে সে এই বাছুরটির জন্ম দেওয়ার পর আরও দুটি বাছুরের জন্ম দিয়েছে, যারা একেবারেই স্বাভাবিক।
তবে এই বাছুরের মালিক জানিয়েছেন, বাছুরটি যখন জন্মায় তখন তিনি বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে পারেননি। ভালো করে খেয়াল করে দেখেন এই বাছুরটির তিনটি চোখ এবং চারটি নাসিকা ছিদ্র। এমনকি তার লেজটিও স্বাভাবিক নয়, যেন কেউ বিনুনি বেঁধে রেখেছে। এমন অদ্ভুত জিনিস দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন নিরাজ নিজেও। কারণ এর আগে এমন বাছুর সে আগে কোথাও দেখেনি। তার জন্ম হওয়ার পর থেকেই গোটা গ্রামবাসীর লোকজন তাকে দেখতে তার বাড়িতে ছুটে ছুটে আসছেন। তাদের বেশির ভাগের মত তারা প্রত্যেকেই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটতে দেখলেন।
জন্মাবার পর বাছুরটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিকটবর্তী পশু চিকিৎসালয়ে। সেখানে ডাক্তাররা তাকে দেখে জানিয়েছে। এমন ঘটনা ঘটা অদ্ভুত কিছু নয়। হরমোন সংক্রান্ত সমস্যার জন্যই এমন বাছুরের জন্ম হয়েছে। সাধারণত এই ধরনের হরমোনের সমস্যা নিয়ে যে সমস্ত প্রাণীরা জন্মায় তারা বেশিদিন বাঁচে না। ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত বাঁচে তারা। আবার অনেকক্ষেত্রে তাদের আয়ু মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনের হয়। তবে ডাক্তারের বিবৃতি অনুযায়ী এই তিন চক্ষু বিশিষ্ট বাছুরটি এই মুহূর্তে একেবারে সুস্থ রয়েছে। তবে আপাতত ছত্রিশগড়ের রাজনন্দগাঁও জেলার বাসিন্দারা মেতে রয়েছেন এই বাছুরটিকে নিয়ে।