বড়মার নিরঞ্জনে ঠাসা ভিড়, মাকে বিদায় জানাতে জনসমুদ্র নৈহাটিতে!
নৈহাটি বড়মার পুজোয় ছুটে আসে হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু কোন অমোঘ টানে? চারদিন মর্তে কাটিয়ে এবার শ্যামার ফেরার পালা। বড়মার পুজো এবার শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। চারদিন ধরে ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ ছিল সত্যিই চোখে পড়ার মতো। অবশেষে ভাইফোঁটার পরের দিন বৃহস্পতিবার বড়মার মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হল গঙ্গায়। বিগত চার দিনে নৈহাটির বড়মার কাছে যেভাবে মানুষের ঢল নেমেছিল, বিসর্জনের দিনেও তার ব্যতিক্রম হলো না।
দুপুর তিনটে নাগাদ নৈহাটির অরবিন্দ রোডের পূজা মন্ডপ থেকে বড়মার মৃন্ময়ী প্রতিমা নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও বড়মার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কার্যত মানুষের ঢল নেমেছিল। অসংখ্য ভক্তবৃন্দ বিসর্জনের দিন বড়মাকে এই বছরের মত শেষ দেখা দেখতে এসেছিলেন। কারো কারো আবার চোখের কোন ভরে গেল জলে। নৈহাটির গঙ্গার ঘাটে নিরঞ্জন করা হলো প্রতিমার।
বড়মার নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল নৈহাটির অরবিন্দ রোড থেকে গঙ্গা পর্যন্ত। দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে যায় তার জন্য সজাগ ছিল পুলিশ প্রশাসন। সোনা রুপার দামি দামি অলংকার খুলে নিয়ে, বিসর্জনের দিন বড়মাকে সাজানো হয়েছিল ফুলের সাজে। তারপরই মন্ডপ থেকে বের করে আনা হয় বড়মাকে। এরপর শোভাযাত্রা সহকারে গঙ্গাবক্ষে বিসর্জনের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয় প্রতিমা। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিল অগণিত মানুষ।
এ বছর নৈহাটির বড়মার পুজো শতবর্ষ উদযাপিত হল। শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তি মন্দিরে এনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেই প্রতিমাকে সাজানো হয়েছে ১০০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে। মনস্কামনা পূরণ হলে নৈহাটির বড়মাকে গয়না দেওয়ার চল রয়েছে। মায়ের সমস্ত গহনা ভক্তদের দেওয়া। অবশেষে বাদ্যযন্ত্র সহকারে “জয় বড়মা” স্লোগানে একেবারে নির্বিঘ্নে বড়মার নিরঞ্জন সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন : দাদাগিরির মঞ্চের শিমুলের শাশুড়ি! মধুবালার পারফরম্যান্স দেখে অবাক সৌরভ