স্কুলে পড়াশোনা না করিয়ে ক্লাসরুমের মধ্যে জনপ্রিয় হিন্দি গানে শিক্ষিকার উদ্দাম নাচ! তুমুল ভাইরাল ভিডিও
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোন কিছুই ভাইরাল হতে বিশেষ সময় নেয় না। প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তাদের মধ্যে সব ভিডিও আমাদের নজর কাড়তে পারেনা। আর বর্তমান যুগে নিজের প্রতিভাকে সকলের সামনে তুলে ধরতে বিশেষ সময় লাগে না। সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমান যুগের যেকোনো মানুষের কাছে তাদের প্রতিভাকে সকলের সামনে আনার জন্য একটা বড় ভূমিকা পালন করে। তবে কথাতেই আছে সব জিনিসের একটা নির্দিষ্ট স্থান-কাল-পাত্র রয়েছে, সেটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না। সম্প্রতি এক স্কুল শিক্ষিকার চটুল নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাতাল, যা পছন্দ হয়নি অধিকাংশ নেটবাসীর।
সম্প্রতি নেটমাধ্যমের পাতায় এক মহিলার নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই মহিলা কোন এক স্কুলের লোয়ার কেজির ইংরেজির শিক্ষিকা। শিক্ষিকার পিছনে থাকা বোর্ডেই লেখা ছিল সবটা। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে তিনি লোয়ার কেজি ক্লাসের শিক্ষিকা। পুরনো কোন এক হিন্দি গানে স্কুলের ক্লাস রুমের মধ্যে নৃত্য পরিবেশন করেছেন শিক্ষিকা। ঘি ও ইঁট রঙের মিশ্রণে একটি শাড়ি ও ইঁট রঙের ব্লাউজে মাথায় একটা হস্টেল বেঁধে নাচতে দেখা গিয়েছে ঐ শিক্ষিকাকে।
একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে নেটদুনিয়ায়। ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে। তবে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তাদের বেশিরভাগের মাতে ঐ শিক্ষিকার ক্লাসরুমের মধ্যে এমনভাবে নাচাটা উচিৎ হয়নি। যতই হোক স্কুল একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেখানে এই ধরনের গানের নাচ একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। আবার অনেকেই বলেছেন, তিনি নিঃসন্দেহে ভালো নৃত্যশিল্পী কিন্তু স্কুল, শিক্ষিকাদের জন্য নাচানাচি করার জায়গা নয়। কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের দেখেই শিক্ষা গ্রহণ করবে। এমন দৃশ্য যদি বাচ্চারা ভুল করলো দেখে ফেলে তাহলে তাদের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে এবং স্কুল নিয়ে একটা ভুল ধারণা তৈরি হবে বলেই মনে করেন অনেকে। বলাই বাহুল্য, সম্প্রতি এই শিক্ষিকার নাচ দেখে প্রশংসা করা তো দূরের কথা, তার এমন নাচা উচিৎ হয়নি বলেই মনে করছেন সকলে।