যে ভাইরাল করল সেই ইউটিউবারকেই আর চিনতে পারছেন না বাদাম কাকু! অহঙ্কারে ধরাকে সরা জ্ঞান করে আজ পথে পথে ঘুরছে ভুবন বাদ্যকর! অবশেষে নিজের মুখেই ভুল স্বীকার করলেন
সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটা মাধ্যম যেটা রাতারাতি যেকোনো ট্যালেন্টকে জনপ্রিয়তা দিয়ে থাকে। আর এই সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বহু মানুষ নিজেদের জীবিকা খুঁজে নিয়েছে। আবার ঠিক এই সোশ্যাল মিডিয়া, বহু মানুষকে কটাক্ষ করে শেষ করে দিচ্ছে তাদের কেরিয়ার। জনপ্রিয়তা হারিয়ে একেবারে কোনঠাটা হয়ে পড়ছেন সেই সমস্ত উঠতি তারকারা। যদিও তাদের পেছনে রয়েছে তাদের দম্ভ।
এমনই একজন ভাইরাল (Viral)মানুষ হলেন বাদাম কাকু ভূবন বাদ্যকর(Bhuban Badhyakar)। যিনি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন গোটা পৃথিবীর কাছে। কামিয়াছিলেন মোটা টাকা। রেখেছিলেন ছয় ছয়খানা অ্যাসিস্ট্যান্ট। শুধুমাত্র তোর ফোন ধরার জন্য। অথচ যার জন্য তিনি এত ভাইরাল হলেন তাকেই নাকি চিনতে পারছিলেন না একটা সময়। আজ সেই সমস্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট নেই। বীরভূমের দুবরাজপুরের ব্লক এ লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের কুড়াল ঝুড়ি গ্রামে থাকেন ভুবন বাদ্যকর।
অভিযোগ করেছিলেন চক্রান্তের শিকার হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করে ভালই রোজগার করেছেন। কিন্তু আগের মতো এখন আর পয়সা নেই। রাধার রাতে কি হলো তার সঙ্গে কোথায় হারিয়ে গেলেন? খোঁজ নিতে ফিরেছিল বাংলাদেশের সেই ইউটিউবার। যার হাত ধরেই তিনি উঠে এসেছিলেন সবার সামনে। এবার সবটা স্বীকার করে নিলেন তিনি। মানলেন ভুল করেছিলেন। বড্ড বেশি অহঙ্কার হয়ে গিয়েছিল তার।
আচমকা সামাজিক মাধ্যম থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে তার গান। আসলে গোপাল নামের এক ব্যক্তি তিন লক্ষ টাকা দিয়ে তাকে বলেছিলেন তাদের চ্যানেলে ওই গান চলবে। তাই এখন কাঁচা বাদাম গান গাইতে গেলেই কপিরাইট ইস্যু দেখাচ্ছে। ভুবন জানিয়েছেন তিনি জানেন না কপিরাইট কিনে নেওয়া হয়েছে তার থেকে। যে কথা বলতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেছেন তিনি। এমনকি গোপাল নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
নিজের বিশাল ইমারত ছেড়ে আপাতত রয়েছেন ভাড়া ঘরে। মানুষের মাঝে ফিরতে চাইছেন তিনি। আবার সকলের মনে জায়গা করে নিতে মরিয়া। তিনি জানিয়েছিলেন গায়ক তিনি নানা প্রান্ত থেকে টাকা পাচ্ছেন। অথচ একটা সময় জানিয়েছেন তাকে কেউ সাহায্য করছে না। কিন্তু ইউটিউবারের কথার ফাঁসে শেষ পর্যন্ত সত্যিটা স্বীকার করে নিলেন তিনি। জানিয়েছেন ভক্তদের কাছ থেকে মোটা টাকা পেয়েছিলেন। আর আজ সেগুলি নিজের দোষেই নেই।