কাঁচা বাদাম এখন অভিশাপ হয়ে ফিরছে! খাবার জন্য ভাত টুকু জোটে না ভুবনের! নিজের গান নিজেই গাইতে পারেন না! পথে পথে ঘুরছেন বাদাম কাকু
‘আমার কাছে পাবে শুধু কাঁচা বাদাম’ নিশ্চয়ই মনে করতে পেরেছেন গানটি। একটা সময় দেশ-বিদেশ কাঁপিয়ে বেরিয়েছে এই কাঁচা বাদাম গান। আর যে এই গানের স্রষ্টা তার তো তখন ব্যাপক খ্যাতি। কিন্তু এই কাঁচা বাদাম যে কখন ফাঁস হয়ে যাবে সেটা বলে নিজেও ভাবতে পারেননি ভুবন বাদ্যকর।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাঁচা বাদাম বিক্রি করে জীবন কাটত তার। কোন রকমে টানাটানি করে চলে যেত সংসার। তার লেখা স্বরচিত কাঁচা বাদাম গান একটু একটু করে দিন বদলাতে শুরু করেছিল তার। কপাল খুলেছিল পরিস্থিতি পাল্টে ছিল। কিন্তু এখন আবার সাহায্যের জন্য আর্জি জানাচ্ছেন সবার কাছে।
ভাইরাল কাঁচা বাদাম গানের দৌলতে বেশ কিছু টাকা এসেছিল তার কাছে। সেই নিয়ে ঘরের বাড়ি ছেড়ে পাকা বাড়ি বানিয়েছিলেন দোতলা। সেই বাড়িও আজ হাতছাড়া। গুন্ডাদের দৌড়াতে নিজের বাড়ি ছেড়ে এখন ভাড়া বাড়িতে থাকেন তিনি। এখন কার্যত পথে বসার জোগাড় হয়েছে তার। ব্যাংক একাউন্ট ফাঁকা। সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন গোধূলিবালা মিউজিক নামের কোম্পানির কর্ণধার তার কাঁচা বাদাম গানের কপিরাইট কিনে নিয়েছে। চুক্তির সময় তাকে বলা হয়েছিল প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা করে পাবেন। কোন বার হয়তো একটু কম হতে পারে।
তবে একবারই ৩৯ হাজার ঢুকেছিল বলে দাবি ভূবনের। তারপর আর কোন টাকা-পয়সা আসেনি তার একাউন্টে। দু বছর ধরে ওই টাকাতেই চালাচ্ছেন কোনো রকমে। আর কপিরাইট এর কারনে নিজের গান নিজেই গাইতে পারছেন না এখন ভুবন। বলা যেতে পারে তার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মত অবস্থা।
ভুবনের এখন কাতর আর্জি আমাকে বাঁচান। যে কটা টাকা রয়েছে তা দিয়ে সংসার চলে না। সামাজিক মাধ্যমে ভুবনের গান নিয়ে এখন মাতামাতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন গান নিয়ে মেতেছেন নেট নাগরিক। স্মৃতির অতলে হারিয়ে গিয়েছে বাদাম কাকু। তেমনভাবে আর কেউ তাকে না।রোজগার নেই তেমন। ভাতের দোকান কিভাবে হবে সেই চিন্তায় কুরে কুরে খাচ্ছে ভুবনকে।
কাঁচা বাদামের কপিরাইট ইস্যুতে গোপাল ঘোষের প্রতারণার করার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের তরফে গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ভুবনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছেন তারা।