সাবান, চানাচুরের গান গাওয়াতে অনীহা মনোময়ের! গায়ককে ঝেড়ে কাপড় পরিয়ে দিলেন জোজো, ‘জনগণই বাঁচিয়ে রেখেছে তাকে’! চাঁচা ছোলা ভাসায় জবাব গায়িকার
গানের জগতে জিঙ্গেল একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। অনেকেই এই গান গেয়ে থাকেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্য। আসলে হলো দর্শকদের মন জয় করা এই গানের মধ্যে দিয়ে। তাতেই পণ্য বেশি ভালোভাবে বিক্রি হয়। সম্প্রতি বাংলার নামি গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য(Monomay Bhattacharya) এক সাক্ষাৎকারে প্রতিজ্ঞা করেছেন কোনদিনও তিনি বিজ্ঞাপনের জন্য গান গাইবেন না। আর এই বক্তব্য মেনে নিতে পারেননি জিংগেল গাওয়া গায়িকা জোজো(Jojo)।
সম্প্রতি বাংলার এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের কাছে মনোময় জানিয়েছিলেন তিনি চানাচুর সাবান লোহা লক্করের গান গাইবেন না। এই মন্তব্যে বেশ রেগে গিয়েছেন গায়িকা। প্রসঙ্গত তার ঝুলিতে রয়েছে মিনু শাড়ি থেকে ডাটা মসলার জনপ্রিয় সব জিংগেল। স্বাভাবিকভাবেই গায়কের এই বক্তব্য বেশ গায়ে লেগেছে তার।
সংবাদ মাধ্যমের কাছে জোজো জানিয়েছেন জিংগেল গাওয়া বেশ কঠিন কাজ। দর্শকদের মন জয় করতে না পারলে আপনি ব্যর্থ। সেটা সাবান হোক কিংবা চানাচুর। এখানেই না থেমে তিনি আরো বলেছেন,’মনোময়দার মতো একজন গুণী শিল্পীর এমন মন্তব্য করা একেবারেই ঠিক না। কোনও কাজই তো ছোট না। প্রত্যেক মানুষের পছন্দ-অপছন্দ থাকে। আমি নিজেকে যদি একজন প্লেব্যাক শিল্পী ভাবি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্তে এত বেছে গান গাওয়া যায় না। তবে আমি এটাও মেনে নিচ্ছি যে অনেকে আইটেম সং গান না। আমি নিজেকে ভাগ্যমান মনে করি, আম্র ঝুলিতে যেগুলি এসেছে সেগুলির বেশিরভাগই হিট। সেই গানগুলিই আমায় স্থান করে দিয়েছে’।
সাক্ষাৎকারে মনোময় জানিয়েছেন তিনি ক্লাসের জন্য গান করেন মাসের জন্য নয়। এই জায়গাতেও আপত্তি রয়েছে জোজোর। তিনি জানিয়েছেন সাধারণ শ্রোতাদের যদি গান পছন্দ না হয় তাহলে জীবনের চল্লিশ বছর সম্পূর্ণ করতে পারতেন না তিনি। একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন ক্লাস এবং মাস দুই পছন্দ করলেই একজন শিল্পী হওয়া যায়। কোন কাজ ছোট নয়। প্রত্যেক কাজের সম্মান রয়েছে। যেমন মেথরকে আমরা ছোট করতে পারি না। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন যে মানুষের মনুষ্যত্ব রয়েছে তিনি কখনোই অন্য একজন মানুষকে ছোট করবেন না।
প্রসঙ্গত শিল্পী মনোময় জোজোকে জানিয়েছেন তিনি কাউকে ছোট করতে চাননি বা ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাননি। সে কোথাও জানিয়েছেন জোজো।