ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যর্থতা গ্রাস করা কিরণের, আজ বার্ষিক উপার্জন কত জানেন?
ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ভুল করেননি কিরণ! স্বপ্ন এবং বাস্তবের মধ্যে বেছে নিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নকেই। পেরেছেন সেই স্বপ্ন পূরণ করতে! কেমন উপার্জন কিরণের? ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে নিজের আয় নিয়ে কী জানিয়েছিলেন ‘দ্য বং গাই’?
দেখুন
ক্যালেন্ডারের হিসেবে তখন সাল ২০১৬ কী ১৭! ইউটিউবের জগতে গড়ে উঠল এক নতুন ইতিহাস। এতদিন যে ভুবন বাম ছিলেন এই ক্ষেত্রে সর্বেসর্বা, আজ তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রকট হয়ে উঠলেন বাংলার কিরণ। নদীয়ার এই অষ্টাদশীর যুবকের কৌতুক ভিডিওয় মজে উঠতে, বাঙালি যুব সমাজের বেশি সময় লাগেনি।
কৌতুক অভিনেতা তথা সঞ্চালক মীরের পর, বাঙালি আবার নতুন করে হাসির রসদ খুঁজে পেলেন ধুবুলিয়ার কিরণ দত্তের মধ্য দিয়ে।
যদিও কিরণ দত্ত তাঁর এই নামের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ‘দ্য বং গাই’ হিসেবেই। বলা বাহুল্য, ‘দ্য বং গাই’ ই হল বাংলা ইউটিউব ইতিহাসের সেই প্রথম দরজা, যা উন্মোচিত হওয়া মাত্রই বাঙালি তরুণ প্রজন্ম ভেসে গেছিলেন নির্ভেজাল হাসির স্রোতে।
কিরণ দত্তের এই সাফল্য পাওয়ার পথ যদিও খুব মসৃন ছিল না। তিনি ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র। উচ্চ শিক্ষার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং। কিন্তু বিভিন্ন ব্যর্থতার জন্য অবসাদ গ্রাস করে ‘বং গাই’ কে। সেই সময় তাঁর সম্বল হয়ে ওঠে, তাঁর বাবার মাল্টি মিডিয়া ফোনটি। সেখানে কিরণ তাঁর গাওয়া গান এবং নিজের তৈরি শর্ট ফিল্ম বানিয়ে সেভ করতে থাকেন।
পরে তাঁর মাথায় আসে ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে পোস্ট করার কথা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ঠিক তার পরেই কিরণ ফেসবুকে খোলেন একটি পেজ। সেখানে তিনি নানারকম মজাদার ভিডিও পোস্ট করতে থাকেন। আর ঠিক এখানেই ঘটে মিরাকেল! সেই ভিডিওগুলিই হতে থাকে বেশ জনপ্রিয়। কিরণ আরও একবার ইউটিউবে চ্যানেল খোলার সিদ্ধান্ত নেন। জন্ম হয় ‘দ্য বং গাই’ এর। আর তার পরের গল্প সকলের জানা।
আরও পড়ুন : ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, সঙ্গে কেক কাটা, ছেলে কবীরের সঙ্গে জমিয়ে বড়দিন সেলিব্রেট করলেন কোয়েল
একবার ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলি কিরণকে প্রশ্ন করেন তাঁর উপার্জন প্রসঙ্গে। কিরণ জানান, ইউটিউব তাঁকে যে সফলতা দিয়েছে, হয়ত ইঞ্জিনিয়ারিং সে সাফল্য দিত না। প্রায় লক্ষাধিক অনুগামীর পছন্দের ‘দ্য বং গাই’ ইউটিউব থেকে উপার্জন করেন লাখ টাকার উপরে। সেই প্রসঙ্গে রসিকতা করতে ছাড়েননি স্বয়ং দাদা।।
কিরণকে জানান, কিরণ তাঁকেও যেন এমন কোনও চাকরির সুযোগ করে দেন। বাইশ গজের মহারাজের কথায় সম্মতি জানান কিরণ। সৌরভ গাঙ্গুলি এবং কিরণের এই মজাদার কথোপকথনে রীতিমত হাসির রোল ওঠে দাদাগিরির মঞ্চ ঘিরে।