ব্যবসার উন্নতির জন্য ভাইরাল হতে চেয়েছিলেন আর ভাইরাল হওয়ার পর ব্যবসা লাটে উঠেছে মাছকাকুর! ‘সবার কি আর বাদাম কাকুর মত কপাল?’ বলছেন নেটিজেনরা
এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই জনপ্রিয় হতে চান। পরিচিতি পেতে চান, চান যে সকলের মুখে মুখে তার নাম ঘুরুক। জনপ্রিয় হওয়ার লোভ কার না নেই? কিন্তু জনপ্রিয় হওয়ার যেমন অনেক সুবিধা আছে তেমনি অনেক বিপদও আছে। সেই বিপদ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মাছ কাকু। হ্যাঁ বাদাম কাকুর পরে ভাইরাল হয়েছিলেন মাছ কাকু, রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্সেশন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কুশল বাদ্যকর নিজের ব্যবসায় লাভ বাড়ানোর জন্য গান বেধেছিলেন আর বাদাম কাকুর মত তিনিও হয়ে গিয়েছিলেন ভাইরাল। কিন্তু ভাইরাল হওয়ার পর তিনি বুঝলেন ভাইরাল হওয়ার কি বিপদ!
যে ব্যবসার জন্য ভাইরাল হতে চেয়েছিলেন তিনি সেই ব্যবসায় লাভ তো দূর, ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে তার! ‘মাছ নেবেন দাদা মাছ নেবেন’ গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যান দুর্গাপুরের শোভাপুর এলাকার বাসিন্দা কুশল বাদ্যকর। মাছ বেচেই তার দিন গুজরান হত, তাই স্বাভাবিকভাবেই তিনি এই ব্যবসাকে বাড়াতে চাইতেন। ভাইরাল হওয়ার পর ভেবেছিলেন এবার ব্যবসায় আরো লাভ আসবে কিন্তু ফল হল বিপরীত। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে বাড়ির বাইরে পর্যন্ত পা রাখতে পারছেন না তিনি ভাইরাল হওয়ার পর তার ব্যবসায় নাকি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ভাইরাল হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। সকলে মাছ কাকু হিসেবে চিনে ফেলেছে তাকে। এবার তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সকলের একটাই আবদার‘ দাদা আসুন না একটা সেলফি তুলি’। এই সেলফি তোলার হিড়িকে পড়ে তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিগত দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না তিনি। একটা সময় তিনি একটি অফিসে কেরানির কাজ করতেন লকডাউনের সেই কাজ চলে যাওয়ায় মাছ বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন কুশল বাবু। এরপর গানে গানে মাছ রাঁধার রেসিপি বলে দিতেন কুশল বাবু। ব্যবসার কাজে এই গানকে এবং একটি সাইকেলকে সঙ্গী করে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সাইকেলের মধ্যে মাছের হাড়ি নিয়ে গান গাইতে গাইতে মাছ বিক্রি করতেন তিনি প্রথম দিকে তার গান ভাইরাল হওয়ায় ভীষণ খুশি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি দেখছেন ভাইরাল হওয়ার জন্য তিনি বাড়ির বাইরে ও বেরোতে পারছেন না, তার সংসারে অভাব অনটন তৈরি হয়েছে আর তার গান ভাইরাল করেই ইউটিউবাররা টাকা রোজগার করছে অন্যদিকে শিল্পীর যোগ্য সম্মানটুকুও পাচ্ছেন না তিনি। কুশলবাবুর স্ত্রী সুমিত্রা দেবীরও বক্তব্য, তার স্বামীকে শিল্পী হিসেবে সম্মান দেওয়া উচিত। ভাইরাল হওয়ার পর মাছকাকুর হিতে বিপরীত হয়েছে এই খবর শুনে নেটিজেনরা বলছেন সবার কপালে ভাইরাল হওয়া সয় না? সবার তো আর বাদাম কাকুর মত কপাল নেই!