‘ও দিলু আমাদের নেই চাপ’ বাংলার মাটিতে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই জয়, নিজের নতুন মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে সকলের কাছে সেই বার্তায় দিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র
বর্তমান রাজনৈতিক ময়দান থেকে বাংলার ক্রাশ বলতে প্রথমে যার নাম মাথা আসে তিনি হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মদন মিত্র। আর কয়েক মাসের অপেক্ষা তারপরেই পঞ্চায়েত ভোট। আর ভোটের আগেই নিজের নতুন মিউজিক ভিডিও বানালেন মদন মিত্র। গানে গানে তিনি সকলকেই গোল দিলেন। ‘নন্দীগ্রামে গোল, সিঙ্গুরেতেও গোল, দিলুর গ্রামেও গোল আর শুসুর গ্রামেও গোল’। প্রকাশ্যে এলো মদন মিত্রর নতুন গান ‘দে গোল’। মিউজিক ভিডিও সামনে আসতে না আসতেই রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে সকলেই রাজনৈতিক ময়দানে নিজেদের হয়ে প্রচার কাজে ব্যস্ত। আর এবারে মদন মিত্র নিজের স্টাইলে দলের হয়ে প্রচার করলেন। যা বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে। ফের আরো একবার বাংলার মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্ব চলবে সেই বার্তায় দিলেন বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাদের যে তিনি খুব একটা তোয়াক্কা করেন না সেটা বুঝিয়ে দিলে নিজের গানের মাধ্যমে। গান জুড়ে বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মদন মিত্র। দিলীপ ঘোষ. শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারকে নিজ স্টাইলে বিঁধলেন মদন মিত্র। আর বললেন বাংলার মানুষের ‘পাশে আছেন মমতা’ তাই ‘নো চাপ’।
মিউজিক ভিডিওতে ‘কালারফুল’ মদন মিত্রকে কখনও ফুটবল পায়ে ময়দান দাপাতে দেখা গিয়েছে, আবার কখনও আরবের শেখদের বেশেও দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া এই মিউজিক ভিডিও সামনে আসার পরে মদন মিত্রের ভক্তরা যেমন প্রশংসা জানিয়েছে আবার ট্রোলাররাও ট্রোল করেছে বিধায়ককে নিয়ে। একেক জন একেক রকম মন্তব্য করেছে। কেউ লিখেছেন, ‘ফিফার কাছে অনুরোধ এটা কাতার বিশ্বকাপের অ্যান্থাম করা হোক’। অপর একজন লিখেছেন-‘টনি কক্করের বাংলা ভার্সন মদনদা’। তবে মদনদার ‘সোয়্যাগ’ দেখে মুগ্ধ ফ্যানেরা। তাঁরা বলছেন, ‘ওহ লাভলি! ফাটাফাটি হয়েছে দাদা’।
তবে এই গান নিয়ে মদন মিত্রের ব্যক্তিগত বক্তব্য হলো ‘এবার শুধু কাতার বিশ্বকাপ নয়, পঞ্চায়েতের কাপ চাই। এটা (এই গান) আমাদের বাংলার মানুষের ভালো লাগবে।’ বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে নিজেই কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন মদন মিত্র। সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। বিধায়কের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি করুণ আবেদন করেছিলাম। ওঁনার অনুমতি নিয়ে, আমি বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন রেখে… আমি ২৩ তারিখ গভীর রাত্রে কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছি’।