“এমন করছে যেন নিজেই সেলিব্রেটি” – সলমানের দিকে হাত এগিয়ে আসতেই কি করলেন তাঁর দেহরক্ষী শেরা? পছন্দ হয়নি অনেকরই, আবার অনেকে বলছেন ঠিক করেছেন, ব্যাপারটা কি?
বলিউডে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন যেই তারকারা সেই তারকাদের তালিকায় একেবারে এক নম্বরে রয়েছেন এখন সলমান খান। এখন থেকে নয়, কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করার মামলার পর থেকেই আসতে শুরু করেছিল হুমকি। হুমকি আসে সাধারণত বিষ্ণোই দলের থেকে, তবে তাছাড়াও আন্ডারগ্রাউন্ডের এমন অনেকেই আছেন যারা সালমানকে মৃত দেখতে চান।
হুমকি আসতে শুরু করেছিল ইমেলের মাধ্যমে। আর তারপরেই সিকিউরিটি বাড়িয়ে দেওয়া হয় ভাইজানের। তাঁর বন্ধুসম দেহরক্ষী শেরা, বলতে গেলে শুরু থেকেই সলমানের দেহরক্ষী হিসেবে ছিলেন তিনিই। তবে কাজের সময় সবথেকে সিরিয়াস তিনি, পাবলিক জায়গায় কাউকে সলমানের ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেন না তিনি, এইটাই ওনার কাজ। খুন করার হলে প্রফেশনাল সুপারি কিলার দিয়েই করানো হবে, তাই সবক্ষেত্রেই সাবধানতা অবলম্বন করে চলছেন শেরা এবং সলমান।
তবে এদিন ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটে গেল এক ঘটনা, যার পর থেকেই কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে শেরাকে, তবে মনে হয় না এই সমস্ত কটাক্ষ তাঁকে তাঁর ডিউটি করা থেকে আটকাবে। এদিন বিমানবন্দর থেকে বেড়োনোর সময়ে ভিড় জমে যায় সেখানে, হবেই বা না কেন ভাইজান বলে কথা। তবে ভিড় মানেই সাবধান সলমান, শেরাসহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরো গোটাকয়েক দেহরক্ষী যারা সলমানের আশেপাশেই ঘিরে ছিলেন তাঁকে। তবে এরপরেই ভিড়ের মধ্যে থেকে এগিয়ে আসে একটি হাত, যা প্রথমে সলমানের দৃষ্টিগোচরে আসলে সে আঙুল তুলে দেখিয়ে এমনটা করতে মানা করে যিনি হাত বাড়িয়েছেন তাঁর দিকে।
তবে এরপরেই অ্যাকশন, হাত বাড়ানো ব্যক্তিকে ধাক্কা মেরে সড়িয়ে দিলেন শেরা। আর তারপরেই এগিয়ে গেলেন গাড়ির দিকে। এখানে অনেকেই মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, তবে তাঁর কাজ সালমানকে রক্ষা করা, তা সে যেকোনোভাবেই হোক। সিদ্ধু মুসেওয়ালাকে সফলতার সাথে খুন করতে পারলে বিষ্ণোই সলমানের সাথেও এমনটা করতে পারে। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না সেটা।
তাই নেটিজেনদের অনেকেই মনে করেছেন তারকাদের প্রাইভেসি বলতে কিছুই থাকে না। আর তারাও মানুষ, সবসময় ভক্তদের সাথে হেসে খেলে ছবি তুলতে ইচ্ছে তাঁদেরও করে না। তাই ব্যক্তিকে ধাক্কা মেরে সড়িয়ে শেরা নিজের কর্তব্য পালনই করেছেন কেবল বলে মানছেন অনেকেই।
View this post on Instagram