বৈশাখীর লাজুক মুখে ভালোবাসার রঙে শোভনের আবির, কোনো রাজনৈতিক রং নয়, দোলে ভালোবাসার রঙের একে অপরকে রাঙালেন শোভন বৈশাখী
দোল উৎসবে মেতে উঠেছে গোটা দেশ। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সকলেই আনন্দে মজে রয়েছেন রঙের উৎসবের। তবে এই সেলিব্রিটি কাপলদের টেক্কা দিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের এক জুটি। চূড়ান্ত সমালোচনা বাধা-বিপত্তি কাটিয়েও একসাথে ভালোবাসায় থাকেন তাঁরা। বুঝতেই হয়তো পারছেন কার কথা বলছি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে শোভন বৈশাখীর।
বলা বাহুল্য রাজনৈতিক মহলের চূড়ান্ত সমালোচিত এই জুটি। নিজের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় সন্তান এমনকি মেয়রের পদ ছেড়ে বৈশাখের সাথে ঘর বেঁধেছেন শোভন। বান্ধবী থেকে প্রেমিকা আর তারপরেই দিয়েছেন স্ত্রীয়ের পরিচয়। বছর দুই আগে দূর্গা পূজার দশমীর দিনে সকলের সামনে বৈশাখের স্মৃতিতে নিজের হাতেই সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন শোভন। এরপর থেকেই বৈশাখীকে নিজের স্ত্রীর স্বীকৃতি দেন তিনি।
বাঙালির বিভিন্ন উৎসবে একে অপরের সাথেই একান্ত সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। রবীন্দ্র সংগীতের গানের তালে শোভনের সামনে ঘুরে ঘুরে নাচ করেছেন বৈশাখী। আবার কখনো সরস্বতী পুজোয় অর্থাৎ বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ভালোবাসার গানে কাছাকাছি এসেছেন তাঁরা। এবার দোল পূর্ণিমা ও একসাথে কাটালেন এই জুটি। আবিরের সাথে একে অপরকে ভালোবাসার রঙের রাঙিয়ে তুললেন তাঁরা।
এদিন বৈশাখী পরনে ছিল লাল পাড় আর ঘিয়া রঙের শাড়ি। সাথে মানানসই লাল ব্লাউজ। আর শোভনের পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি। বৈশাখীর সুকোমল গালে সযত্নে শোভনকে রং লাগিয়ে দিতে দেখা গেল। শোভনকেও রঙে রাঙিয়ে দিলেন বৈশাখী। আবার সর্বসমক্ষে জড়িয়ে ধরলেন একে অপরকে। সেখানে তাঁরা ছাড়াও রং খেলার জন্য উপস্থিত ছিলেন বৈশাখীর মেয়ে মেহুল। রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সামাজিক তির্যক দৃষ্টি সব সময় একে অপরের পাশে ছিলেন শোভন বৈশাখী। দোল পূর্ণিমায় তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার রসায়ন আবারো ধরা পড়লো।