‘ওঁর মূল আশ্রয় টুকু যেন কেড়ে নেওয়া না হয়!’ এবারে বাদাম কাকুকে নিয়ে সাক্ষাৎকারে তুমুল আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় গায়িকা জয়িতা চক্রবর্তী
মাত্র একটি গানের মাধ্যমে বদলে গিয়েছে বীরভূমের ভুবন বাদ্যকরের জীবন। এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা, মাথার উপর হয়েছে ছাদ। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি এখন দেশ থেকে বিদেশে জনপ্রিয়। তার গাওয়া গান দেশের মাটি থেকে বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যেকের কাছেই তিনি এখন জনপ্রিয় বাদাম কাকু নামে পরিচিত আর সেই বাদাম কাকুকে নিয়ে মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তী।
জয়িতা একজন জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। তার সুরের জাদুতে তিনি মাতিয়ে রেখেছেন গোটা বাংলা জাতিকে। তার অসাধারণ কন্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত গুলি যেন আরো জীবিত হয়ে ওঠে প্রতিদিন। এক সাক্ষাৎকারে হঠাৎ বাদাম কাকু সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় গায়িকা। জয়তী বাদাম কাকু সম্পর্কে বলেছেন “একটা শিল্পকে আঁকড়ে ধরে তিনি কর্ম করছিলেন। আমার ভয় হচ্ছে তার সেই আশ্রয় টুকু যাতে না চলে যায় ৷”
ভুবন বাদ্যকর বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভাইরাল হওয়ার আগে তার পেশা ছিল বাদাম বিক্রি করা যদিও এখনও নিজের এই পেশা কেই রোজগারের পথ হিসেবে ধরে রেখেছেন। স্ত্রী, দুই ছেলে, ছেলের বউ এবং মেয়ে কে নিয়ে তার সংসার। একটা সময় সংসারে অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী। সেই সময় রাজমিস্ত্রি থেকে দিনমজুরের কাজ সব কিছুই করেছেন। এরপরই বাদাম বিক্রি কে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন।
আর এভাবেই একদিন গান গেয়ে বাদাম বিক্রি করতে করতে হঠাৎ তার এই গানের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়ে যায় ভাইরাল। এখন তিনি আর বাদাম বিক্রি করেন না। এই প্রসঙ্গেই গায়িকা জয়িতা বলেছেন নিজের এই কর্মটুকু যেনো শেষ না করে দেন ভুবন বাবু। কারণ বর্তমানে জনপ্রিয়তা কমে গেলেই সব শেষ। প্রচুর তরুণ প্রজন্ম এখন মঞ্চে সুযোগ পাচ্ছে। বিভিন্ন রিয়েলিটি শো গুলির মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা ফুটিয়ে তুলেছে। তাই জয়িতা বলেছেন ‘এদের প্রতিভা দারুণ। তবে এখনকার ছেলেমেয়েদের বুদ্ধি অনেক কিন্তু তাদের বোধ কম ৷ তবে আধুনিক প্রজন্মকেও রবীন্দ্রনাথের লেখা গান যেভাবে আকৃষ্ট করছে তা অত্যন্ত আনন্দের বলেও জানান জয়তি ৷’